বড়লেখা প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরশহরের পানিধার এলাকায় পঁচা মরিচ গুঁড়া করে মসলা তৈরীর পর বাজারজাত করণে জড়িত একটি মসলা তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ টন ভেজাল পঁচা মরিচ জব্দ করে কারখানার মালিক আশিকুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জব্দ পঁচা মরিচ জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। অভিযানে সহায়তা করেন থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আফসার আলী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার পানিধার এলাকায় বি.এস.টি.আই, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও পৌরসভার অনুমোদন নিয়ে মেসার্স ইশাবা ট্রেডিং কর্পোরেশন নামক মসলা কারখানার মালিক আশুগঞ্জের আশিকুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে সামান্য ভাল মরিচের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণ পঁচা মরিচ ও রঙ মিশিয়ে গুঁড়া মরিচ তৈরি করে বাজারজাত করছিল। ভেজাল মসলা তৈরীর গোপন সংবাদে রোববার দুপুরে ওই কারখানায় অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন। এসময় কারখানার গোদাম থেকে প্রায় দুই হাজার কেজি পঁচা মরিচ জব্দ করা হয়। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর (৪৩) ধারায় কারখানার মালিক আশিকুজ্জামানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে জব্দ পঁচা মরিচ জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।
সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, বি.এস.টি.আই-এর অনুমোদন নিয়ে মেসার্স ইশাবা ট্রেডিং কর্পোরেশন দীর্ঘদিন ধরে ভাল মরিচের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পঁচা মরিচ ও রঙ মিশিয়ে বাজারজাত করছিল। অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ টন ভেজাল মরিচ জব্দ এবং কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পঁচা মরিচগুলোতা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ভেজাল মসলা উৎপাদনকারী কারখানাটির বি.এস.টি.আই, স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের ও পৌরসভার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
Leave a Reply