নিজস্ব প্রতিবেদক::
হাকালুকি হাওরের ৫ শতাধিক একর আয়তনের সরকারি জলমহালের সংশ্লিষ্ট ইজারাদার অবৈধভাবে ফিসিং করছেন বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ স্বত্তে¡ও ইজারা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে চরম গড়িমসি করেছেন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার আর.ডি.সি সুুশান্ত সাহা।
সূত্র জানায়, হাকালুকি হাওরের জুড়ী উপজেলার আওতাধীন ৫১৮ একরের ‘চাতলা বিল’ জলমহালটি উন্নয়ন স্কিমের আওতায় ১৪২৫ বাংলা থেকে ১৪৩০ বাংলা সন পর্যন্ত ৬ বছরের জন্য ইজারা নেন জুড়ী ভেলি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শিমুলতলা গ্রামের মো. জমির উদ্দিন। মৌলভীবাজার জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশে ভূমি মন্ত্রণালয় জলমহালটি ইজারা দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ইজারা মেয়াদের শেষ বছর অর্থাৎ আগামী বছর বিল ফিসিং করার কথা। কিন্তু ইজারাদার সমিতির সভাপতি গত শনিবার থেকে বিলে মাছ ধরা ও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু করেন। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী অবৈধভাবেভাবে মাছ ধরার অভিযোগ তুলেন।
এব্যাপারে বিলের আয়তন, ইজারা গ্রহীতা, ইজারার মেয়াদ, ইজারার মূল্য, ফিসিংয়ের শর্তাবলী ও মাছ আহরণের সময় ইত্যাদি প্রাথমিক তথ্যাদি জানতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগের আর.ডি.সি সুশান্ত সাহা’র নিকট তার কার্যালয়ে গেলে তিনি কোনকিছুই জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানকে অবহিত করলে তিনি জানান, এসব প্রাথমিক তথ্যতো না দেওয়ার কথা নয়, ‘আপনি রাজস্ব শাখায় যান। আমি বলে দিচ্ছি, অবশ্যই দিয়ে দিবে।’
এরপর দ্বিতীয় দফা রাজস্ব শাখার আর.ডি.সি সুশান্ত সাহা’র নিকট গিয়েও সংশ্লিষ্ট বিল সংক্রান্ত কোন তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উক্ত ইজারাদার সমিতি গতবছরও শুষ্ক মৌসুমে বিল সেচে মাছ আহরণ করেছে। বিল সেচের কারণে বিলের নিচের মাটি পর্যন্ত ফেটে যায়। কিন্তু লিখিত অভিযোগ স্বত্তেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে অবৈধ জাল দিয়ে অবাধে পোনামাছ নিধন করা হলেও সংশ্লিষ্টরা ছিলেন নির্বাক।
Leave a Reply