বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নজির স্থাপন, বছরে ১২৫২ মামলার নিষ্পত্তি বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নজির স্থাপন, বছরে ১২৫২ মামলার নিষ্পত্তি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নজির স্থাপন, বছরে ১২৫২ মামলার নিষ্পত্তি

  • রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩

আব্দুর রব :

বড়লেখায় মামলা জট নিরসনে নজির স্থাপন করলেন বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তাঁর বলিষ্ট ভুমিকায় ২০২২ সালে ১২৫২ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যা ওই বছরের মোট দায়েরকৃত মামলার ১১৩ শতাংশ এবং আদালত চালুর পর এক বছরে সর্বাধিক মামলা নিষ্পত্তির ঘটনা। দ্রæত মামলা নিষ্পত্তিতে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবিসহ সংশ্লিষ্টরা আদালতের ওপর বেশ সন্তোষ্ট বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (চৌকি আদালত) বড়লেখায় বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে। অনেক মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা, চিকিৎসকসহ মামলা সংশ্লিষ্টরা যথাসময়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারকার্য বিলম্বিত হচ্ছিল। এতে বিচারপ্রার্থীরাও ভোগান্তির শিকার হন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওই আদালতে যোগদানের পর মামলা জট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগী হন। তাঁর ভুমিকায় মামলা সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির ও মামলা নিষ্পত্তিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তাঁর বিশেষ ভুমিকায় ২০২২ সালে ১২৫২ মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। যা ওই আদালতে দায়েরকৃত মামলার ১১৩%। ওই বছরের ১ জানুয়ারি বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা ছিল ৯৯৬ টি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে সামগ্রিকভাবে নতুন ১১১০ টি মামলা দায়ের হয়। ফলে এ বছরে আদালতে বিচারাধীন মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২১০৬ টি। বিচারাধীন এই ২১০৬ টি মামলা থেকে সর্বমোট ১২৫২ টি মামলা নিস্পত্তি শেষে ২০২৩ সালের শুরুতে ৮৫৪ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০২২ সালে দায়েরকৃত মামলার অনুপাতে এ আদালতে ১১৩% মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। সূত্রমতে এই আদালতে এক বছরে (২০২২) বিচার ফাইলের মোট ৩৫৭ টি মামলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এই সময়কালে থানায় ২৬৩ টি মামলা দায়ের হয়। যার বিপরীতে থানায় দায়ের হওয়া এমন ৪৪৭ টি মামলা আদালতের আমল ফাইল থেকে নিস্পত্তি করা হয়।

এদিকে এই সময়ে মোট ২৪ টি মামলার রায়ে প্রথমবারের মতো অপরাধে জড়িত হয়েছে এমন অপরাধীদের জেলে পাঠানোর পরিবর্তে সংশোধনমূলক আদেশ দিয়ে প্রবেশনে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এসব অপরাধীদের জনস্বার্থে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অধীনে জনসেবামূলক কাজসহ সংশোধন উপযোগী নানা রকম শর্ত পূরণ করতে দেয়া হয়েছে।

আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, ২০২২ সালে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ জিয়াউল হক এই মামলাসমূহ নিস্পত্তি করেন। বিজ্ঞ আইনজীবীবৃন্দ, বড়লেখা থানা পুলিশ, কোর্ট পুলিশ, বিচারপ্রার্থী জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতায় বিজ্ঞ আদালতের পক্ষে বিশাল পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তির এই কর্মসম্পাদন সম্ভব হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews