এইবেলা, বড়লেখা::
বড়লেখার কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ি লোকমান আহমদের প্রায় ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গোলাপগঞ্জের মার্ভেলাস হোমস (প্রা:) লিমিটেড কোম্পানী নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় প্রতারক কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছেন।
এই প্রতারণা মামলার (জিআর-২৪৯/২২) আসামীরা হলেন- মার্ভেলাস হোমস (প্রা:) লিমিটেড কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাফিজ মাওলানা নুরুল হুদা, ডিরেক্টর সুফিয়ান আহমদ ও সামছুল হুদা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা সিলেটের গোলাপগঞ্জের মার্ভেলাস হোসম (প্রা:) লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ডিরেক্টর। তারা একে অপরের আত্মীয়, ব্যবসায়িক পার্টনার ও প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের সদস্য সুফিয়ান আহমদ কাতার প্রবাসী। তিনি বড়লেখা উপজেলার বড়থল গ্রামের কাতার প্রবাসী ব্যবসায়ি লোকমান আহমদকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়ের লোভনীয় প্রস্তাব দেন। ৪২ মাসে লভ্যাংশসহ মুলধন পরিশোধের শর্তে ২০১৬ সালের ৪ মার্চ তিনি ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ লাখ টাকার ১০টি শেয়ার ক্রয় করেন। মেয়াদান্তে প্রবাসী লোকমান আহমদকে লভ্যাংশসহ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয় প্রতারক কোম্পানীর কর্তারা। ৪২ মাস পর শেয়ার ম্যাচিয়ুড হলে ভোক্তভোগী প্রবাসী কোম্পানীর অফিসে গিয়ে মুলধন ও লভ্যাংশ দাবী করলে তারা দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস দেয়। এরপর অনেক অনেক বার ধর্না দিয়েও পাওনা আদায়ে তিনি ব্যর্থ হন। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ নভেম্বর আসামীরা মুলধন ও লভ্যাংশ প্রদানের বিষয় সম্পুর্ণ অস্বীকার করায় প্রতারিত প্রবাসী ১ ডিসেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসী লোকমান আহমদের নিয়োজিত আইনজীবি জাকির আহমদ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জানান, আসামীরা সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। আদালত গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহারগণ্যে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটির পরবর্তী ধার্য তারিখ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাপগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি তদন্তের জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। তদন্ত কাজ শেষ হলেই বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
Leave a Reply