জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে স্থানীয়রা প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। খেলায় আশিক মিয়ার ছেলে ইছাক মিয়াকে অংশ নিতে না দেওয়ায় একই এলাকার মো. জহির আহমদের ছেলে রাব্বি, সাব্বির ও মেরাজসহ মাঠে কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করে দেন।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় সাইফুর, আবুল, জিয়াউর, ইছাক, কয়েছ মিয়াসহ ৬/৭ জনের সদস্য মিলে একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রাব্বি, সাব্বির ও সাজ্জাদ মিয়ার ছেলে মেরাজসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালায়। হামলায় রাব্বি, সাব্বির ও মেরাজ মিয়া গুরুতর আহত হন। আহতদেরকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সোমবার আহতদের মধ্যে সাব্বির হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত রাব্বি ও সাব্বির এর বাবা জহির আহমদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় সাইফুর রহমান, আবুল হাসান, জিয়াউর রহমান, ইছাক মিয়া, কয়েছ মিয়াকে অভিযুক্ত করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জহির আহমেদ বলেন, আমার ছেলে ও ভাতিজার উপর অতর্কিত হামলা করে তাদের আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আমি কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
তবে অভিযুক্ত আবুল হাসান জানান, খেলায় কিছু সমস্যা হয়েছে এবং সাথে সাথেই সমাধা করা হয়েছে। এরপর রাতে আমি বাসায় যাওয়ার সময় অভিযোগকারীরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। তখন নিজেকে আত্মরক্ষা করি।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply