বড়লেখা প্রতিনিধি ;; মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমিকাকে চা বাগানে ঘুরতে নিয়ে বন্ধুরা মিলে এক তরুণীকে (২১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। এঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ প্রেমিকসহ ২ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা বাগানে ধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে ফাহিম (২৫), একই গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে আল আমিন (২৩), উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ডালিম উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০), পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের ফইয়াজ আলীর ছেলে রমিজ উদ্দিন (২৮) ও নাফিতখাই গ্রামের বলাই মিয়ার ছেলে সানোয়ার আহমদ (২২)।
মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ডালিম উদ্দিনের ছেলে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) ও তার বন্ধু কুদরত আলীর ছেলে আল আমিনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নব গোপাল দাশ তাদের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেন। ওই দিন বিকেলে গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে প্রেমিক মাহমুদুল হাসান (২০) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের কান্দিগ্রামের এক তরুণীর সাথে মাহমুদুল হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রেমিক মাহমুদুল হাসান বেড়ানোর কথা বলে তাকে অহিদাবাদ চা বাগানে নিয়ে যায়। পূর্ব থেকে গোপনে সে তার কয়েকজন বন্ধুকে সেখানে রেখে দেয়। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক সবাই মিলে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় লম্পটরা ধর্ষণের শিকার তরুণীকে তার বাড়ির পাশে ফেলে যায়। পরে ওই তরুণীকে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখার শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নব গোপাল দাশ। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের করা মামলার পরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি বিয়ানীবাজার এলাকা থেকে মাহমুদুল হাসান ও তার বন্ধু আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার আদালতে মাহমুদুল হাসান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে।’
Leave a Reply