বড়লেখায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন সেই বৃদ্ধ বড়লেখায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন সেই বৃদ্ধ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিটার মিনিবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এফসি ডার্ক নাইট একজন মেহেদী হাসান রিফাতের গল্প : স্বপ্ন থেকে সাফল্যের পথে আত্রাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লাখ টাকা জরিমানা : ১৪ টি যানবাহন জব্দ কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবার খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আটক কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে জিপিএ-৫ ও এ গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজারহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের আয়োজনে বাল্যবিবাহ বন্ধে সংলাপ কুড়িগ্রামে ডক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র মতবিনিময়

বড়লেখায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন সেই বৃদ্ধ

  • বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এইবেলা, বড়লেখা ::

বড়লেখায় মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানিবক নির্যাতনে গুরুতর আহত বৃদ্ধ আমির উদ্দিন (৬৫) সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। হাত-পা ভেঙ্গে, দুই কানে ছিদ্র ও জিহ্বা কেটে নির্যাতনের ঘটনায় আহত আমির উদ্দিনের মেয়ে জেনেফা বেগম জেবা ৭ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে আসামীরা গা ঢাকা দেয়ায় পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানা গেছে, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাহাদুরপুর ইউপির বাউরিলখাল এলাকায় অস্থায়ী বসতঘরে আমীর উদ্দিন ও তার স্ত্রী বিলকিছ বেগমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসী এবাদ আহমদ বাপ্পী (২৬), আছার উদ্দিন (৪৫), রাজু আহমদ (২২), হোসেন (৩৫), আব্দুস শুকুর (৩০), দুদু মিয়া (৪০), আব্দুল্লাহ (২৫)।

সন্ত্রাসীরা বিলকিছ বেগম ও আমীর উদ্দিনকে বাউরিলখালে পিটিয়ে আহত করে। বিলকিছ বেগম চিৎকার করলে তার চুল কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে আমীর উদ্দিনকে সাধুর কালীবাড়ী টিলায় নিয়ে উপর্যুপুরী আঘাত তার দুই পা, দুই হাত, কোমর ভেঙ্গে দেয়। মাথার এক পাশ দিয়ে শিকল ঢুকিয়ে আরেক পাশ দিয়ে বের করে, জিহ্বার এক ইঞ্চি পরিমান কেটে ফেলে। দুই কানের ভিতরে ছিদ্র করে, ঘাড় ভেঙ্গে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। ভোরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে করেন। সেখানে ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু ঘটে।

ঘটনার ২দিন পর আহত আমীর উদ্দিনের মেয়ে জেনেফা বেগম জেবা ৭ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। জেনেফা বেগম জেবা জানান, তার পিতার শরীরের এমন কোন অঙ্গ বাদ যায়নি যেখান সন্ত্রাসীরা ভাঙ্গেনি। হাত-পা, কোমর ভেঙ্গে জিহ্বা কেটে ফেলে। তাদের নির্মম নির্যাতনে ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা গেছেন। মামলা দায়েরের ৫দিন পরও পুলিশ একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত অমানবিক। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews