হাকালুকিতে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ হাকালুকিতে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা ঘরহারা বন্যার্তদের পাশে কুলাউড়া এসোসিয়েশন অব নিউজার্সি ইউএসএ

হাকালুকিতে উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

  • শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪

এইবেলা, কুলাউড়া  :: হাওর অঞ্চলের সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাকালুকি হাওর তীরের বড়লেখা ও জুড়ীর উপজেলায় হাঁস বিতরণে অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, হাকালুকি হাওর বেষ্টিত এ উপজেলার বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় ৫টি করে ইউনিয়নের ২৮০টি করে পরিবারের মধ্যে হাঁস বিতরণ করা হয়।

প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করা হয়। হাওর অঞ্চলের সমন্বিত হাঁস ও ছাগল দিয়ে অসহায় পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে হাঁস পালনের জন্য যাবতীয় সরঞ্জামসহ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী মানুষকে।

সরেজমিন বড়লেখা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, সুজানগর ইউনিয়নে সুফলভোগীর তালিকায় সাবেক মেম্বার, প্রবাসী এমন কি মৃত ব্যক্তির নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভোলারকান্দি গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাস ২০ বছর আগে মারা গেছেন অথচ তালিকায় ১২ নাম্বারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তালিকার শতকরা ৬০ ভাগ লোকই স্বচ্ছল বলে ভোলারকান্দি গ্রামের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ জানান। তাদের দাবি হতদরিদ্র মানুষ তালিকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোক্তার আলী জানান, তালিকায় কোন ধরনের স্বজনপ্রীতি হয়নি বলে দাবি করেন। এলাকার মানুষ সরেজমিন তদন্ত করলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে জানান।

বড়লেখা উপজেলা দক্ষিণভাগ (উত্তর) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন জানান, এই প্রকল্পে সুনামের চেয়ে বদনাম হয়েছে বেশি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করলে কোন কিছুর অস্থিত্বই পাওয়া যাবে না। সব মরে ছাফ (শেষ)। হাঁস বিতরণকালে আমি দরবার (ঝগড়া) বাকবিতন্ডা করছি। ৮০০ গ্রাম হাঁস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০০ গ্রাম। হাঁস পালনের সরঞ্জাম কিছুই দেওয়া হয়নি। প্রকল্পে কিছু না হলেও মানুষ এখন আমাদের বদনাম করছে। হাঁস বাড়িতে নেয়ার আগেই মারা গেছে। এসব হাঁসের বাচ্চা বিতরণের আগেই আধা মরা (অর্ধমৃত) ছিলো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করলে প্রকল্পের কোন অস্থিত্ব পাওয়া যাবে না বলে তিনি দাবি করেন। হাঁসের ঘর যা ইচ্ছা তাই।

জুড়ী উপজেলায় ০৬ জুন বৃহস্পতিবার হাঁস বিতরণ করা হয়। হাঁস নিতে আসা পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল চক গ্রামের অল্পনা রানী বিশ্বাস, পশ্চিম গোবিন্দ পুর গ্রামের ময়না রানী বিশ্বাস জানান, আমাদেরকে হাঁসের বাচ্চা দেয়া হয়েছে। আর কিছু নয়। সরঞ্জাম কিছুই ছিলো না।

বড়লেখা উপজেলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, তালিকায় দেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন মেম্বার চেয়ারম্যানগণ। সুজানগর ইউনিয়নের তালিকা নিয়ে যে অভিযোগ, তা সংশোধন করা হয়েছে। আর কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews