এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আওয়ামীলীগ সমর্থক ৬ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, সহ সভাপতি সফি আহমদ সলমান, যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সিপার উদ্দিনসহ ১০৩ নেতাদের নামে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা দেওয়া হয়েছে আরও ৮০ জনকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলার দায়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। তবে এসব মামলায় এখনও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কুলাউড়া চৌমুহনী চত্বরে মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগে মামলা (নং ১১ তারিখ ২৩/০৮/২৪) দায়ের করেন উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের কিয়াতলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র আবুল ফাত্তাহ ফাহিম (২৮)।
এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদকে।
মামলায় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেলসহ ২০ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামী করা হয়।
এদিকে গত ২৪ জুলাই শহরের মিলিপ্লাজার সম্মুখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে কাদিপুর গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র পারভেজ মিয়া (২৫) বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় বিষ্ফোরক দ্রবাদী আইনে একটি মামলা (নং ১২ তারিখ ২৪/০৮/২৪) দায়ের করেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফি আহমদ সলমান, পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, কাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাফর আহমদ গিলমান, ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, হাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বখস, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দিক আহমদ নোমান, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মমদুদ হোসেন ও কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদসহ ৮৩ জনের নামোল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামী করা হয়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এসব মামলায় এখনও কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি। আসামী গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply