বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের সদস্য ও বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েলের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ মামলার ২নং আসামি মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েলের ৫ দিন রিমান্ড প্রার্থনা করেন। বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ জানান, আসামিকে আদালত থেকে থানায় নিয়েছেন।
গত ২৯ আগস্ট সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল ও জালাল আহমদকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ৩০ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক বিয়ানীবাজার পিএলসি শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, অফিসার হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত ও মাহবুব আহমদ খানকে সাথে নিয়ে ব্যাংকের নিয়মিত কাজে বড়লেখায় আসেন। তারা ব্যাংকের দুইটি মোটরসাইকেল যোগে বড়লেখা বাজারসহ বিভিন্ন গ্রাম হতে খেলাপি বিনিয়োগ ১,৬৫,০০০/- টাকা আদায়ের পর ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখায় জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। দুপুরে বড়লেখা শাখা সংলগ্ন হ্যাপি কমপ্লেক্সের সম্মুখে পৌঁছলে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ‘ঐ যে জামায়াতের লোক।…ধর..ধর মার মার’ বলে দা, লোহার রড, হকিস্টিক, ছুরি, কিরিচ, চাপাতি নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। হামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, হাফিজ আহমদ, আব্দুল মুকিত, অধ্যক্ষ মাওলানা ফয়জুর রহমান প্রমুখ আহত হন। এসময় বিবাদীরা ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মালিকের প্যান্টের পকেটে থাকা আদায়কৃত খেলাপি বিনিয়োগের ১,৬৫,০০০/ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে পেট্টল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। আসামিরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
ঘটনার প্রায় ১১ বছর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিয়ানীবাজার শাখার অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মালিক। মামলায় ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- যুবলীগ নেতা মুমিনুল হক টনি, সালেহ আহমদ জুয়েল, কবির আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, আলী হোসেন, হারুনুর রশিদ বাদশা, তাজ উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, আবজাল হোসেন আওয়াল, সাহেদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফরহাদ আহমদ, শামীম আহমদ কালা, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আলী, এনাম উদ্দিন, শামীম উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, কামরুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ নেতা সুমন আহমদ, কামাল আহমদ, অজিত দাস।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply