এইবেলা রিপোর্ট::
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারিদের হয়রানী, অসদাচরণ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কমিশন আদায়, দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশ্রয় প্রদানসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সেই উপ-পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমানকে অবশেষে বদলি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মুহাম্মদ মকবুল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে মৌলভীবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে লালমনিরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। তার বদলিতে জেলার প্রতিটি উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও তিনি এই বদলি আদেশ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
জানা গেছে, খন্দকার মাহবুবুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে যোগদানের পরই নানা অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বহির্ভুত অন্যান্য সরকারি বরাদ্দ নানা অজুহাতে আটকে দেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রতিটি খাতের সরকারি বরাদ্দ থেকে কমিশন আদায় করেন। কমিশন বাণিজ্যে হেরফের হলেই কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপর অযাচিত শোকজ এমনি বরখাস্তের হুমকিও দিতেন। উপ-পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলসহ অন্যান্য উপজেলার ভোক্তভোগি কর্মচারিরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন। সূত্র জানায়, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাকে বদলি করেছে। তবে, তিনি এই বদলি আদেশ ঠেকাতে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে দৌঁড়ঝাপ দিচ্ছেন। এতে, তার হয়রানী ও কমিশন বাণিজ্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সদ্য বদলি আদেশপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান, মৌলভীবাজারে যোগদানের ২ বছর হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ আছে বলে জানা নেই। দুর্নীতির অভিযোগে গত ২ জানুয়ারি তার অধীনস্থ একজন কর্মচারিকে বড়লেখা থেকে কুলাউড়ায় বদলি করেছেন। মৌলভীবাজারের থাকার জন্য বদলি আদেশ ঠেকাতে তিনি কোনো দৌঁড়ঝাপ দিচ্ছেন না।
Leave a Reply