টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানগুলো টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানগুলো – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জের আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা রাজু গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে বাড়ন্ত মুরগীর বাচ্চা ও খাদ্য বিতরণ কমলগঞ্জে দূর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ চ্যাম্পিয়ন আত্রাইয়ে ভটভটি উল্টে নিহত- ১ আহত ২ ওসমানীনগরে হারভেস্টার মেশিনে অগ্নিসংযোগ বড়লেখায় ৪ সিএনজি চোর গ্রেফতার, ৩ চোরাই সিএনজি উদ্ধার কুড়িগ্রামে এবি পার্টির ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত কমলগঞ্জে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা কমলগঞ্জে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাথর ভেঙ্গে খোয়া তৈরিতে ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা নির্মাণ কাজ জামিনে মুক্তি পেলেন কুলাউড়ার কাদিপুর ইউপি সদস্য

টানা খরার পর স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা বাগানগুলো

  • শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় খরায় বিবর্ণ হওয়া চা গাছে দেখা মিলছে নতুন কুঁড়ির। টানা তাপপ্রবাহের পর গত তিন-চার দিনের বৃষ্টিতে নতুন কুঁড়ি ও সবুজ পাতা গজিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রচন্ড তাপে বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল বাগানের অধিকাংশ চা গাছ। অনেক স্থানে শুরু হয়েছিল লাল রোগের প্রাদুর্ভাব। চা উৎপাদন শুরুর মৌসুমেই কমলগঞ্জের চা বাগানগুলোতে কমে যায় চা উৎপাদনের গতি। তবে গত কয়েক দিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে।

চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত বুধবারের তীব্র বৃষ্টিতে বাগান রক্ষায় কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ মিলিয়ন কেজি। ২০২৩ সালে ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়। আর ২০২৪ সালে হয় ৯৩ মিলিয়ন কেজি, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল।এবারও সৌসুমের শুরুতেই খরায় চা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এরই মধ্যে মার্চের শুরু থেকে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে নতুন বছরে চা পাতা চয়ন শুরু হয়েছে।

প্রকৃতিনির্ভর একটি কৃষিজ পণ্য চা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চায়ের উৎপাদনও ভালো হয়, এর জন্য প্রয়োজন পরিমিত বৃষ্টি ও সুর্যের কিরণ।

প্রায় চার মাস আগ থেকেই চা বাগানের সেকশনগুলোয় চা গাছ ছাঁটাই করার কাজ শুরু করেছিল বাগান কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাইয়ের কারণে চা বাগানে চলে এসেছিল রুক্ষ শুষ্কভাব। চা বাগানের জন্য সহনীয় তাপমাত্রার সীমা পেরিয়ে গেলে বিপত্তিতে পড়েন বাগান-সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টির অভাবে রুক্ষ বাগানে নতুন পাতার দেখা মিলেনি খুব একটা। এর মাঝে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সামান্য যা কুঁড়ি-পাতা ছিল তাও আক্রান্ত হতে শুরু করে। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে বাগান কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকরা অনেকটাই খুশি।

ন্যাশনাল টি কোম্পানীর ডিজিএম শফিকুর রহমান (মুন্না) বলেন, বৃষ্টিতে বাগানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কাংখিত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ভালো ফলনের সম্ভাবনার পাশাপাশি আপাতত বাগান গুলোতে কৃত্রিম পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অনাবৃষ্টির কারনে ও তীব্র খরায় মৌসুমের শুরুতেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেল, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews