এইবেলা, কুলাউড়া :::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্ত্রী-সন্তানের খোঁজে প্রশাসনসহ বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক অসহায় স্বামী। গত ৪ দিনেও তাদের কোন খোঁজ না পাওয়ায় অনেকটা আতংকিত তিনি।
জানা যায়, উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার বাসিন্দা জমির আলী পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক (রাজ মেস্তরি)। প্রায় ১৩ বছর আগে জুড়ী উপজেলার সাগরনাল এলাকার পারভিন সুলতানা রুলিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। তাদের ঘরে ফরহাদ (১২) ও তানিশা (৮) দুটি সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে ছেলে ফরহাদ স্থানীয় কামারকান্দি মাদরাসার পড়ালেখা করে। কাজের সুবাদে বিভিন্ন সময় জমির আলী এলাকার বাইরে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার বরমচাল ইউনিয়নের ফুলেরতল বাজার এলাকায় কাজের জন্য চলে যান তিনি। পরদিন বুধবার বিকালে জমির খবর পান, তার স্ত্রী পারভিন সুলতানা রুলির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধ্যায় জমির আলী বাড়িতে এসে শশুড়বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও তার খোঁজ পাননি। বুধবার রাতে উল্টো পারভিনের ভাই পুলিশ নিয়ে জমিরের বাড়িতে এসে বোনকে খোঁজ করেন।
দিনমজুর জমির আলী বলেন, বড় ছেলে জন্মের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়াঝাটি হতো। প্রায় সময় তাকে না বলেই রাত-বিরাতে বাপের বাড়ি সাগরনালে চলে যেতেন স্ত্রী পারভিন। এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ও মুরব্বিদের নিয়ে একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়েছে। গত তিনদিন থেকে স্ত্রী-সন্তানের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে গিয়েও তাদের কোন খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য কুলাউড়া থানায় বার বার গেলেও পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
জমির আলী আরও বলেন, গত কোরবানী ঈদে নিজের পালিত একটি গরু ও একটি ছাগল বিক্রি করেছেন। এছাড়াও ঘরের হাস-মোরগ বিক্রি ও নিজের কাজেরসহ প্রায় ১লাখ টাকা জমিয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিলো একটি ঘর তৈরী করবেন। কিন্তু সেই জমানো ১ লাখ টাকাএবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ও দুই সন্তানকে নিয়ে কোথায় চলে গেছেন স্ত্রী পারভিন সুলতানা রুলি। তার স্ত্রী-সন্তানকে কোথাও খোঁজে পেলে উক্ত ফোন নাম্বাারে (০১৭৮২ -৫০২৬৫৯/০১৭২৬-৩৭৯৭১০) জা
Leave a Reply