এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর ১৬১ দশমিক ১৩ একর আয়তনের বালু মহালে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন সিনিয়র সহকারি জজ (কুলাউড়া) ইসরাত জাহান।
এদিকে বালু মহাল থেকে অবাদে বালু লুটপাট চলায় ০১ জুলাই বুধবার থেকে সকল ধরণের বালু পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল আলম। তিনি জানান, বালু নিয়ে দু’টি পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা যায়, ১৪৩০ বাংলা সনের জন্য সাড়ে ৫ কোটি টাকায় মনু নদীর ১৬১ দশমিক ১৩ একর আয়তনের বালু মহালের ইজারা নেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার সাটিয়াজুড়ী ইউনিয়নের সেলিম আহমদের স্ত্রী নাজমুন নাহার লিপি। তিনি বৈধভাবে প্রাপ্ত হয়ে বালু মহাল রক্ষণাবেক্ষণসহ বালু উত্তোলন, পরিবহন, বিপনন সরবরাহের কার্যাদি গত ০৮ মে থেকে কুলাউড়া উপজেলার লস্করপুর গ্রামের আব্দুল হাছিবকে আমমোক্তার (রেজি নং ১৯৮৭) নিয়োগ করেন।
এদিকে নাজমুন নাহার লিপি সন্ত্রাসী লোকের প্ররোচনায় সরেজমিনে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করলে ইজারাদার মো: আব্দুল হাছিব কুলাউড়া সিনিয়ির সহকারি জজ আদালতে স্বত্ব মামলা (১৭৯/২০২৫) দায়ের করেন। মামলায় ১নং বিবাদি নাজমুন নাহার লিপি ও তার স্বামী ২ নং বিবাদি সেলিম আহমদের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারি জজ (কুলাউড়া) অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। তাছাড়া ৩নং বিবাদি জামিল ইকবাল ৪নং বিবাদি আব্দুল মুকিত ও ৫নং বিবাদি দিপক দে বালু মহাল সংক্রান্ত কার্য্যাদি বাঁধা প্রদানের পাঁয়তারায় থাকায় তাদেরকেও পক্ষভুক্ত করে নিষেধাজ্ঞা আদেশ দ্বারা বাদীপক্ষের দখলে বিঘœ সৃষ্টি না করার মর্মেও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
এদিকে গত আড়াই মাস থেকে বালু মহালে ইজারাদারের অনুপস্থিতে ১৪২৮ বাংলা সনে উত্তোলিত কোটি কোটি টাকার স্তুপকৃত বালু হরিলুট চলছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং পুরাতন ইজারাদারের লোকজন এই লুটপাটে জড়িত বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল আলম জানান, প্রতিদিন বালু চুরি ও লুটপাটের খবর পেয়ে ০১ জুলাই তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। সরেজমিনে বালু পাচারের বিষয়টির প্রমান পান। বালু নিতে আসা অনেকগুলো ট্রাক ড্রাইভারকে বালু পরিবহন না করার জন্য সতর্ক করে দেন। সেই সাথে সব ধরণের বালু পরিবহন নিষিদ্ধ করেন।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক স্যারকে মনু নদীর তীরের অতীতে বিভিন্ন সময় উত্তোলিত ও স্তুপিকৃত বালু নিলাম করার জন্য চিঠি দিয়েছেন। পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা বালুগুলো নিলাম হলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে। সেই সাথে বিরোধও মিঠে যাবে অনেকাংশে।##
Leave a Reply