এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষুব্দ বিএনপির নেকাতর্মীরা। তাদের অভিযোগ, সবক’টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলে কমিটি হলেও মোটার অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টদের সুবিধাভোগীদের নিয়ে গোপন আতাতের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এনিয়ে ৮নং ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির ৫১ সদস্যসহ ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতাকর্মীরা ১১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে কমিটি বাতিলের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করীম ময়ুনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে যান।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস পূর্বে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বরমচাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়। তখন বলা হয় কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। সে লক্ষে সভাপতি পদে ফারুক আহমদ ও ময়ুব মিয়া এবং সম্পাদক পদে সাবির উদ্দিন ও জয়নুল ইসলাম প্রার্থী হয়ে প্রচারণা চালান। কিন্তু গোপনে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগিরা যারা নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন এধরনের বিতর্কিত ব্যক্তি ফখরুল ইসলামকে সভাপতি এবং সফিক উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে গোপনে বিনা কাউন্সিলে দলের নিবেদিত কর্মীদেরকে বাদ দিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করায় চরম বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন ওয়ার্ডের শত শত বিএনপির নেতা কর্মীবৃন্দ। তারা আওয়ামী লীগের দোষরদের নিয়ে গঠিত কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবির উদ্দিন জানান, সবক’টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি হলেও কেবল ৮ নং ওয়ার্ডে কেন সিলেকশনে কমিটি হলো। এখানে মোটা অংকের লেনদেনের বিনিময়ে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়কের কাছে বিষয়টি আগেই লিখিত আকারে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তিনি কোন প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেননি।
এব্যাপারে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ জানান, আমরা ১৫-১৬ বছর আওয়ামীলীগের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট হলাম এবং দল পরিচালনা করলাম। এখন গোপনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধাভোগীদের নিয়ে গোপনে করা কমিটি আমরা মানি না। কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনই একমাত্র সমাধান।
এব্যাপারে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুর জহুর ডেন জানান, ৮ নং ওয়ার্ড কমিটি সিলেকশনে করেছি। সবাইকে পরবর্তীতে মূল্যায়ন করা হবে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির বিভিন্ন পদে তাদের রাখা হবে। যে কেউ অর্থের বিষয়টি অভিযোগ করতেই পারে।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদওয়ান খান বলেন, বিষয়ে সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু ফারুক আহমদরা না আসায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি। #
Leave a Reply