বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখার ইটাউরি গ্রাম থেকে ভারতীয় চোরাই সন্দেহে ১১টি মহিষ আটক করে বিজিবি লাতু ক্যাম্পের সদস্যরা। কিন্তু আটক মহিষগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী রাস্তায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করলে বিজিবি মহিষগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে।
একই দিন পৃথক অভিযানে বিজিবি সীমান্তবর্তী বড়াইল এলাকা থেকে ১০টি ভারতীয় চোরাই মহিষ আটক করে। শুক্রবার দুপুরে তা কাস্টমসে জমা দিয়েছে বিজিবি। আটক মহিষগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইটাউরী গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ভারতীয় চোরাই মহিষ আটক করে বিজিবি লাতু বিওপির সদস্যরা। তবে, এলাকাবাসী মহিষগুলো তাদের গৃহপালিত দাবি করে রাস্তায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা বিজিবির হেফাজত থেকে মহিষগুলো ছাড়িয়ে নেয়।
অন্যদিকে স্থানীয় লোকজনদের দাবি, বিজিবির আটককৃত মহিষগুলো ইটাউরি গ্রামের কৃষক সৈয়দ বিলাল আহমদ ও খালেদ আহমদের গৃহপালিত। বিজিবি ভারতীয় চোরাই সন্দেহে মহিষগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দেন। গ্রামবাসীর বাধায় বিজিবি মহিষগুলো ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড়লেখা উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ইটাউরি গ্রামে অভিযান চালায় বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) আওতাধীন লাতু ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। এসময় ইটাউরি গ্রামের কৃষক সৈয়দ বিলাল আহমদের ৪টি ও খালেদ আহমদের ৭টি মহিষ আটক করে বিজিবি। পরে বিজিবি মহিষগুলো ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় মহিষ মালিক ও গ্রামের কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে তাদের বাধা দেন। তাদের বাধার মুখে বিজিবি মহিষগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজু আহমদ জানান, বিজিবি অভিযান চালিয়ে এলাকার দুই ব্যক্তির কয়েকটি মহিষ আটক করে। মহিষগুলো গৃহপালিত হওয়ায় এলাকাবাসী তাদের বাধা দেন। এতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবি মহিষগুলো আর নিতে পারেনি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

বিজিবির লাতু ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ভবেশ চন্দ্র রাহুত বলেন, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইটাউরি গ্রামে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি মহিষ আটক করা হয়। এসময় মহিষগুলো গৃহপালিত দাবি করে এলাকাবাসী ছাড়িয়ে নেন।
উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, বিজিবির ভারতীয় মহিষ সন্দেহ করা সঠিক ছিল। তাদের (বিজিবি) সাথে এলাকাবাসী খারাপ আচরণ করেছে। উত্তেজনা সৃষ্টি করে আটক মহিষগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বিজিবির কাছে আমাদের সবার ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
এদিকে বড়লেখার বড়াইল এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০টি ভারতীয় চোরাই মহিষ আটক করে বিজিবি। সীমান্তের জিরো লাইন থেকে প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে লাতু বিজিবির একটি টহলদল মহিষগুলো আটক করে। তবে, বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়।
বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী জানান, বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় অবৈধ মহিষগুলো শুক্রবার দুপুরে কাষ্টমসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply