নিটার প্রতিবেদন ::
সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) -এর শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ক্যাম্পাসে সমকামীতা বিষয়ক কিছু কর্মকাণ্ড ও প্রচারণা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অভিযোগ করছে, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন কার্যক্রমে কেউ কেউ জড়িত হয়ে পড়েছে, যা ক্যাম্পাসের সাধারণ পরিবেশ ও সংস্কৃতিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিডিও প্লাটফর্ম টিকটক, লাইকির কিছু পোস্ট ও ক্যাম্পাসে কিছু ব্যক্তির আচরণ ‘সমকামী মতাদর্শ’ ছড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিষয়টি জানাজানির পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম প্রান্ত বলেন, “আমরা আমাদের নিটারকে, আমাদের সমাজকে, আমাদের ধর্মকে ভালোবাসি। আমরা চাই না আমাদের পরিবেশ নষ্ট হোক এমন নিচু ও জঘন্য কাজের মাধ্যমে। তাই আমরা চাই—নিটারে যারা সমকামিতার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও একাডেমিকভাবে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মানসিকতার কাউকে নিটারে ভর্তি করা না হয়, সে বিষয়েও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমরা চাই, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটি সুস্থ, নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন পরিবেশে বড় হয়ে উঠতে পারে। যদি নিটার প্রশাসন এই বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমরা নিটারিয়ানরা প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবো।”
প্রতিষ্ঠানটির আরেক শিক্ষার্থী সাকিব আহাদ জানান, “সমকামিতা আমাদের বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়ংকর একটি ব্যাধি।ইতিহাস থেকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।পশ্চিমা দেশগুলো এই ব্যাধিকে আমাদের দেশে প্রমোট করার জন্য খুব তোড়জোড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।বিশেষ করে ভার্সিটি ক্যাম্পাসগুলো এদের অন্যতম টার্গেট।আমরা নিটারিয়ানরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই আমরা এসব সামাজিক মূল্যবোধ বিরোধী, বিকৃত মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার একদম ঘোর বিরোধী। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন এদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখে।”
নামের প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, “সমকামিতা (Homosexuality) হলো এমন একটি যৌন অভিমুখিতা (sexual orientation) যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের লিঙ্গের মানুষের প্রতি যৌন বা রোমান্টিক আকর্ষণ অনুভব করে। এবং প্রকৃতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, বাংলাদেশে এখনও দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতা অবৈধ। এবং একটা অবৈধ জিনিস কখনোই আমাদের সমাজের জন্য মঙ্গলজনক নয়।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনের নিকট শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ যেন কোনোভাবে কলুষিত না হয়, সেই বিষয়ে প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।##
Leave a Reply