আব্দুর রব, বড়লেখা ::
বড়লেখার সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানের ৯ বছরের শিশু চন্দনা বোনার্জী। সেদিন তার চোঁখের সামনে সৎ বাবার দায়ের কোপে মরতে হয়েছে মা আর নানিসহ দুই প্রতিবেশীকে। তবে ভাগ্যক্রমে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে যায় সে। সবাইকে হারিয়ে নিঃস্ব চন্দনার ঠাঁই হয় শ্রীমঙ্গল সরকারি শিশু পরিবারে। সেই চন্দনাকে সবাই ভুলে গেলেও মনে রেখেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান। তাইতো শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিনি সব হারানো সেই চন্দনাকে উপহার দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে চন্দনাকে তার কার্যালয়ে এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান দুর্গাপূজার উপহার স্বরূপ নতুন পোষাক তুলে দিলেন।
এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উবায়েদ উল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন, উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন, সাংবাদিক আব্দুর রব, তপন কুমার দাস ও এ.জে লাভলু উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি ভোরে বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাল্লাথল চা-বাগানে পারিবারিক কলহ নিয়ে নির্মল কর্মকারের সঙ্গে তার স্ত্রী জলি বোনার্জির ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে সে জলিকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় জলিকে বাঁচাতে তার মা লক্ষী বোনার্জি ও পাশের ঘরের বসন্ত ভৌমিক এবং বসন্তের মেয়ে শিউলী ভৌমিক এগিয়ে এলে নির্মল তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সময় ঘাতক সৎ বাবার দায়ের কোপ থেকে কোনো মতে বেঁচে যায় চন্দনা বোনার্জী। সে দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে চিৎকার দিলে আশাপাশের শ্রমিকরা বাড়ি ঘেরাও করেন। নির্মল একে একে সবাইকে শেষ করে ঘরের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্বাবধানে অসহায় চন্দনার ঠাঁই হয় শ্রীমঙ্গল সরকারি শিশু পরিবারে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply