এইবেলা, সুনামগঞ্জ :::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পল্লীতে গণধর্ষণের পর তরুণীর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাকে বিবস্ত্র করে ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে কিছু গ্রাম্য মাতবর।
সপ্তাহখানেক অপচেষ্টা চালিয়েও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যায়। এদিকে তরুণীর শারীরিক অবস্থাও ক্রমশ অবনতি হলে মঙ্গলবার তার মা ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দেন।
মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। লোমহর্ষক পাশবিক এ ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের খাইরগাঁও গ্রামে।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘরের বাইরে গেলে ওতপেতে থাকা লম্পটরা ওই তরুণীর মুখ চেপে ধরে ধানক্ষেতে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে মেয়েটির পরনের জামাকাপড় খুলে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে বিবস্ত্র করে তাকে ছেড়ে দেয় ধর্ষকরা।
এদিকে মেয়েটির বাবা একটি মামলার পলাতক আসামি; তাই বাড়িতে না থাকার সুবাদে অর্থলোভী এলাকার কতিপয় মাতবর মামলা না করতে তার মাকে চাপ দেয়। পরে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হলে তিনি থানায় মামলা দিতে বাধ্য হন।
ওই দিন বিকালেই ওসি নাজির আলমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষক বিল্লালকে আটক করে পরদিন তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি নাজির আলম মামলা দায়ের ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাকি ধর্ষকদের গ্রেফতারের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply