আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস  – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন বড়লেখায় প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার

আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস 

  • সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

Manual1 Ad Code

আনোয়ার হো‌সেন র‌নি ::

Manual2 Ad Code

২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। জাতিসংঘের উদ্যোগে ঘোষিত এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্রের সারবত্তা ও অন্তর্নিহিত শক্তি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চার পরিবেশ সুসংহত করা। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি এ দিনে জানানো হচ্ছে গভীর শ্রদ্ধা, আহতদের প্রতি সহমর্মিতা এবং গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

শহীদ জিয়ার গণতন্ত্র দর্শন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন একদলীয় বাকশালের কবল থেকে। তাঁর কালজয়ী দর্শনের কেন্দ্রে ছিল বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, যার মর্মমূলে অবস্থান করেছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের নীতি। প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্য। এই মূল্যবোধকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েই তিনি গণতন্ত্রকে জনমুখী করার প্রয়াস চালিয়েছিলেন।

বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম শহীদ জিয়ার চিন্তা ও দর্শনকে অগ্রসর করেছিলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এজন্য তাঁকে বহুবার সহ্য করতে হয়েছে স্বৈরতান্ত্রিক শক্তির আক্রমণ ও নির্যাতন। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে বারবার হানা দিয়েছে স্বৈরতন্ত্র।

রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করা, ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন আয়োজন করা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা—এসবই ছিল ক্ষমতা দখলদারিত্বের কৌশল। ভীতিকর ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে শাসকগোষ্ঠী।

গত দেড় দশক ধরে আওয়ামী শাসনের ফ্যাসিবাদী রূপ গণতন্ত্রকে বন্দী করে রেখেছিল। গণতান্ত্রিক নীতিমালা প্রচারের যেকোনো প্রচেষ্টা নির্দয়ভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে দেশকে পরিণত করা হয়েছিল এক নৈরাজ্যময় কারাগারে।

এবারের প্রতিপাদ্য : লিঙ্গ সমতা জাতিসংঘ এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে— “Achieving Gender Equality: Action by Action”, অর্থাৎ পদক্ষেপের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে হবে।

গণতন্ত্রের অন্যতম মূলভিত্তি হলো সমঅধিকার। নারী-পুরুষ কিংবা অন্য যেকোনো লিঙ্গের মানুষ সমান সুযোগ ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকারী। এটি কেবল রাজনৈতিক বা সামাজিক বিষয় নয়, বরং একটি মৌলিক মানবাধিকার।

Manual1 Ad Code

গণতান্ত্রিক সমাজে যদি কোনো শ্রেণি বা লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়, তবে সে বিষয়ে প্রতিবাদের সুযোগ থাকে। তাই প্রকৃত গণতন্ত্রে নারী-পুরুষ ভেদরেখা তীব্র হয় না; বরং ধীরে ধীরে সমানাধিকার নিশ্চিত হওয়ার পথে অগ্রসর হয়।

গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরশাসনের পতন গণতন্ত্র একটি সর্বজনীন মূল্যবোধ। জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসর নির্ধারণে স্বাধীনভাবে ইচ্ছা প্রকাশের অধিকারই এর ভিত্তি। জীবনের সকল ক্ষেত্রে জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই গণতন্ত্র হয় শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা গড়ে তুলেছিল এক নজীর বিহীন গণঅভ্যুত্থান। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট পতন ঘটে এক ভয়ঙ্কর স্বৈরশাসনের, যা ইতিহাসে দাগ কেটে থাকবে। জনগণের আত্মত্যাগ ও ঐক্যের শক্তিই দেখিয়েছে, গণতন্ত্রকে চিরকাল অবরুদ্ধ রাখা যায় না।

Manual7 Ad Code

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার রূপরেখা আজকের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নতুন করে উচ্চারিত হচ্ছে। এজন্য প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

Manual8 Ad Code

গণতন্ত্র মেরামতের ভিত্তি হবে—অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা,

সংবাদমাধ্যমের মুক্তচর্চা,এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি বৃদ্ধি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, বরং জনসচেতনতা ও নাগরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে টেকসই করা সম্ভব।

সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে ইনশাআল্লাহ, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো—যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিশ্চিত হবে সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, থাকবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ, প্রতিষ্ঠিত হবে সামাজিক স্থিতিশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিক মর্যাদা। গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক পদ্ধতি নয়, বরং এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাই আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হতে হবে— গণতন্ত্রকে রক্ষা করা, পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শক্ত ভিত্তি গড়ে দেওয়া।##

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!