এবে সংবাদদাতা :: সিলেট-৬ গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার আসনে বিএনপি বিপাকে পড়েছে প্রার্থী জটের কারণে। দলটির অন্তত ৯ জন নেতা নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। অপরদিকে, জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এই আসনে দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার নাহিদ ও আওয়ামী লীগও নেই তাই বড় সুযোগ হয়ে এসেছে বিএনপির জন্য।

কুশিয়ারা তীরবর্তী এই অঞ্চল থেকে বিজয়ী হয়ে অতীতে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এবার রাজনীতি ও নির্বাচনী মাঠ থেকে ‘আউট’ আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থাও নড়বড়ে। ফলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির মুল প্রতিদ্বন্দ্বি একসময়ের জোটসঙ্গী জামায়াত। ইতোমধ্যে আসনটিতে জামায়াত নতুন মুখ হিসেবে ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জামায়াতের একক প্রার্থীর বিপরীতে মাঠে রয়েছেন বিএনপির ৯ জন। এছাড়া ইসলামী বিভিন্ন দলও আসনটিতে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
এ আসনে আওয়ামীলীগ ৬ বার, আর ২ বার করে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দুইবার বিজয়ী হওয়া ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দেন। দলীয় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত। ফলে যেখানে বিএনপি নির্ভার থাকার কথা সেখানে প্রার্থী আধিক্যতায় বহুধাবিভক্ত নেতাকর্মীরা।
সিলেট-৬ আসনে বর্তমানে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ৯ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী। রাতের ভোটখ্যাত ওই নির্বাচনে তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পারলেও তিনি এলাকা ছাড়েননি। নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি এলাকায় তৎপরতা আরও বাড়িয়েছেন। জুলাই গণঅভ্যূত্থানে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের শহীদ পরিবারগুরোর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এছাড়াও আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক উপদেষ্টা অহিদ আহমদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম কমর উদ্দিনের মেয়ে সাবিনা খান ও সাবেক সংসদ সদস্য ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়ার মেয়ে সৈয়দা আদিবা হোসেন।
এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহইয়া ও জাসাসের আহ্বায়ক চিত্র নায়ক হেলাল খান।
এদিকে, আসনটিতে অতীতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতের বর্তমান আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান নির্বাচন করলেও এবার প্রার্থী বদল হয়েছে। নতুন মুখ হিসেবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে। আর হাবিবুর রহমানকে প্রার্থী করা হয়েছে সিলেট-১ আসনে। প্রার্থী ঘোষনার পর থেকে সেলিম উদ্দিন এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় তিনি দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথেও মতবিনিময় করছেন। দলীয় কর্মকান্ড ও ব্যক্তি ইমেজে স্বল্প সময়ে তিনি এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এছাড়াও আসনটিতে ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের হাফেজ মাওলানা মো. ফখরুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের মাওলানা সাদিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের আজমল হোসেন নিজ নিজ দলের প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply