নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলাউড়া গ্রাম এলাকায় এক মাদকসেবির যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় লোকজন। মঙ্গলবার দুপুরে এসআই সনক কান্তি সরেজমিন ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাঁর কাছে জোর দাবি জানান।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড কুলাউড়া গ্রামের লন্ডন প্রবাসী নওয়াব আলী চৌধুরীর বাসার দেখবাল করেন তার বোন দিলারা বেগম চৌধুরী। কুমিল্লার বাসিন্দা রিপন আহমদ চায়না পরিবার-পরিজন নিয়ে এই বাসায় ভাড়া থাকেন। প্রায় রাতেই মদ খেয়ে বাসার সামনে এসে মাতাল হয়ে চিল্লাচিল্লি করেন চায়না। তার চিল্লা চেছামেছিতে আশপাশ বাসার লোকজনও ঘুমাতে পারেন না।
গত এক বছর থেকে চায়নাকে বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও তিনি বাসা ছাড়ছেনা। চায়নার কাছে বাসা ভাড়া এবং বিদ্যুৎ বিল বাবত প্রায় ৫০ হাজার টাকা পান দিলারা বেগম। একাধিকবার বলার পরও চায়না বাসাও ছাড়ছেনা এবং টাকাও পরিশোধ করছেনা। উল্টো দিলারা বেগমকে মামলা-হামলাসহ নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভীতী দেখাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহমদ দুলাল, সুলাব আহমদসহ উপস্থিত কয়েকজন বলেন, রিপন আহমদ চায়না পেশায় একজন ইলেট্রিশিয়ান। কিন্তু এই ইলেট্রিশিয়ান পেশায় কি এমন আলাদিনের চেরাগ যে, চায়না ও তার ভাই পাঁচ লক্ষ টাকা দামের মোটরসাইকেল চড়ে বেড়ায়। তার রুমে এয়ারকন্ডিশনসহ রয়েছে দামি দামি ফার্নিচার। অপরিচিত লোকজনসহ দামি দামি গাড়ি, মোটরসাইকেল রাত-বিরাতে চায়নার বাসায় আসা-যাওয়া করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, প্রায় রাতেই এই চায়নাকে রাস্তায় মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেখা যায়। মাদক ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক কাজে জড়িত রয়েছে সে। রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় মেয়েদেরকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে বিরক্ত করে চায়না। রাত-বিরাতে বহিরাগত মাদকসেবিদের নিয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করে চায়না। এই চায়না জোরপূর্বক দিলারা বেগমের বাসা দখল করে আছে। প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সাথে তার সখ্যতা এবং উঠাবসা আছে এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে লোকজনের কাছ থেকে চাদা আদায় করে।
এব্যপারে রিপন আহমদ চায়না মুঠোফোনে জানান, একদিন তিনি মদ খেয়ে কিছুটা মাতলামি করেছেন। স্থানীয় কয়েকজনকে বিদ্যুৎ লাইন থেকে অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে বেটমিন্টন খেলার সুযোগ না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এসব বলছেন।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সনক কান্তি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে বাসার মালিকসহ স্থানীয় লোকজন চায়নার বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। তাৎক্ষনিক তার বাসায় গিয়ে চায়নাকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply