এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ শমশেরনগর বাজারের ভেতরে রাস্তা দখল করে দোকানপাঠ ও নানা পসরা সাজিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারের সবজি ও মাছ বাজারে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তুপে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বাজারে ক্রেতা সাধারণের চলাচলের রাস্তা সরু হওয়ায় ক্রেতা সাধারণ ও স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় সচেতন মহল সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
অভিযোগে জানা যায়, কতিপয় দখলদাররা শমশেরনগর বাজারে চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকান ও বিভিন্ন কাজে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবজি বাজার ও মাছ বাজারে দখলদারিত্বের কারণে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ ও শোচনীয় হয়ে পড়ছে। বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে পড়ছে। ফলে বাজার করতে আসা নারী কর্মজীবি, গৃহিনীরাও চরম ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সবজি বাজার ও মাছ বাজারের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র ফেলার কারনে মশা, মাছিসহ রোগ বালাইয়ের প্রকোপ ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ক্রেতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগ করে শমশেরনগর সুজা মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুর্শেদুর রহমান, হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরে আলম সিদ্দিক, প্রভাষক শাহজাহান মানিক, ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, ব্যবসায়ী আহমদুর রহমান খোকন, মতিউর রহমান, গৃহিনী রিপা বেগম বলেন, শমশেরনগর বাজারে এই ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন বহু নারী পুরুষ আসেন। তবে বাজারের রাস্তা দখল করে এবং সবজি ও মাছ বাজারে চলাচলের রাস্তার উপর দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি মহল।
তারা আরও বলেন, এছাড়া ময়লা আবর্জনায় চরম দুর্গন্ধ, রোগের প্রকোপ ও ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ফলে করোনাকালীন সময়েও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হচ্ছে না এবং নারী কর্মীদেরও গাঁ ঘেষাঘেষি করে চলাচল করতে হচ্ছে।
অভিযোগ বিষয়ে রাস্তায় দোকান নিয়ে বসা ব্যবসায়ী রকিব মিয়া, সাজু মিয়া, আব্দুল মুকিদ জানান, বাজার ইজারাদারকে নিয়মিত টাকা দিয়ে আমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
শমশেরনগর বাজার ইজারাদার আশাই মিয়া বলেন, রাস্তায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যাতে না বসে সেজন্য আমরা তাদের বলেছি। তারপরও বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
শমশেরনগর বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোশাহিদ বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমরাও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং শীঘ্রই আমরা একটি সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বুধবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুত সরেজমিন তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply