এইবেলা, ওসমানীনগর, ০৫ জুন ::
সিলেটের ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামের শিপন হত্যার প্রায় ১মাস হয়ে গেলেও হত্যাকান্ডের মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামী জয়নুল হক ধন মেম্বারের গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে এবার রাস্তায় নেমেছেন নিহত শিপনের মা সুফিয়া বেগম(৫০)। ০৪ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ঈশাগ্রাই গ্রামেবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি তার ছেলে হত্যাকরীর ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে নিহত শিপনের মা, বাবা আশিক মিয়া, বোন নাজমিন বেগম ও বড় ভাই হত্যা মামলার বাদি রিপন মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে তাদের স্বজন শিপনকে মামলার প্রধান আসামী স্থানীয় ধন মেম্বার কর্তৃক নির্মম হত্যার চিত্র সাংবাদিকদের সামনে বর্ণনা করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত গ্রামবাসীসহ নিহত পরিবারের সকল সদস্যদের একটাই দাবী ছিল শিপন হত্যার প্রায় ১মাস হয়ে গেলে রহস্যজনক কারণে কেনো ধন্য মেম্বার গ্রেফতার হচ্ছে না। মানববন্ধন থেকে অভিযোগ করা হয় ধন মেম্বারের লোকজন মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে মামলার বাদি ও সাক্ষীদেরকে অব্যাহত হুমকি প্রদান করে আসেছে। ধন মেম্বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দেদারছে ব্যবহারসহ বিভিন্ন জনের সাথে ফেসবুক চ্যাট নিয়মিত করছে এবং এলাকার অনেকের সাথে তার যোগাযোগ থাকলেও পুলিশ ধন মেম্বারকে খুজে পাচ্ছে না। মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা অচিরেই ধন মেম্বারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবী জানান।
মানববন্ধনে হত্যা মামলার বাদী শিপনের বড় ভাই বলেন, ধন মেম্বারের লোকজন মামলা তুলে না নিলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে এখন আমাকেও যেকোনো সময় হত্যা করতে পারে আমি সহ আমার পরিবারের সাবাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আশিক মিয়া, আক্তার মিয়া, নেছাওর মিয়া, সুয়েব আহমদ, টুনু মিয়া, ছোরাব উল্যাহ, আজমল মিয়া, খাজা বক্স, আলফু মিয়া, আব্দুস সালাম, খায়ের আহমদ, কওছর মিয়া, আব্দুল হক, সৈয়দ মিয়া নিহত শিপনের বাবা আশিক মিয়া, মা সুফিয়া বেগম, বোন নাজমিন বেগম, ভাই রিপন মিয়াসহ এলাকার কয়েক শতাধিক নারী পুরুষ।
উল্লেখ্য, গত ০৬ মে ইফতারের পূর্বে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে আশিক মিয়া গংদের সাথে স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জয়নুল হক ধন মিয়ার সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ধন মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়াকে ছুলফি দিয়ে আঘাত করলে শিপন গুরুতর আহত হয় এ সময় উভয় পক্ষের আরো অন্তত ১৪জন আহত হন। গুরুতর আহত শিপনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে সাতটার দিকে শিপন মারা যায়। পর দিন শিপনের বড় ভাই বাদী হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ২৭জনের নামে ওসমানীনগর থানার হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত ৮জনকে গ্রেফতার করে কিন্ত হত্যাকান্ডের প্রায় ১মাস হয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামী জয়নুল হক ধন মেম্বারকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি।
Leave a Reply