এইবেলা, কমলগঞ্জ ::
সারাদেশের সাথে একযোগে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। রোববার দুপুর ১টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার ভ্যাকসিন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করলেন সাবেক চিফ হুইপ, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। কমলগঞ্জে প্রথম টিকা গ্রহণ করলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৌমিত্র সিনহা। টিকা গ্রহণ ভয়ের নয়, আনন্দের বলে টিকা গ্রহণ করে অনুভূতি প্রকাশ করলেন ৮০ বছর বয়সী স্বস্ত্রীক বৃদ্ধ শহিদ উদ্দীন চৌধুরী।
রোববার দুপুর বেলা ১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় টিকাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চিফ হুইপ, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ, কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভঅপতি আছলম ইকবাল, উপজেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল প্রমুখ।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা টিকা কমিটির সদস্য সচিব ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূইয়া জানান, সারাদেশের সাথে কমলগঞ্জ উপজেলায় করোনা টিকার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে ৯০০ জন টিকার নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধিতদের মাঝে তালিকা অনুযায়ী প্রথম ১০০ জনকে রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা প্রয়োগ করা হয়। ইতিমধ্যে কমলগঞ্জে ৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। প্রথম দিনে ২০ জন লোক টিকা গ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
শমশেরনগর থেকে টিকা গ্রহনে ছেলেকে নিয়ে স্বস্ত্রীক এসেছিলেন বৃদ্ধ শহিদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, সরকারি উদ্যোগে টিকা আসার পরও অনেকের মাঝে ভীতি কাজ করছে। তবে টিকা নিয়ে তারা ও স্ত্রীর আনন্দ লাগছে। তিনি আরও বলেন, করোনার টিকা গ্রহণ ভীতির নয় আনন্দের বিষয়।
সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গলে টিকা গ্রহন করে কমলগঞ্জে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নেতেৃত্বে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় শুরু থেকেই। তাইতো বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম। তিনিও ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশে টিকা আনা হয়েছে এবং সরকারি উদ্যোগে টিকাদান শুরু হয়েছে সেহেতু নিবন্ধন করে সবাইকে টিকা গ্রহণ করা উচিত।#
Leave a Reply