এইবেলা, কুলাউড়া, ০৭ জুন ::
কোভিড-১৯ এ কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় হতদরিদ্র মানুষের চরম দুর্দিনে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট ক্রিড়া সংগঠক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। চলমান পরিস্থিতিতে সাধ্যানুযায়ী এমন সহায়তা কর্ম অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা যায়, কুলাউড়া পৌরসভায় ৪ হাজার পরিবারের কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, সাপ্তাহিক কুলাউড়ার সংলাপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আওয়ামী লীগ নেতা সিপার উদ্দিন আহমদ।
করোনা ভাইরাসে পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসচ্ছল দুস্থ ও অসহায় মানুষকে সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছেন সমাজের সামর্থবানরাও। প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন নিজ দলের নেতাকর্মীদের। তাঁর এই নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ নিজ উদ্যোগে দু:স্থ ও অসহায় মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা দাড়াঁন।
জানা যায়, রমজান মাসে প্রতিদিনই রাতে তারাবীহ নামাজ শেষে সেহরী পর্যন্ত রাতের আধারেই পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়, পাড়া মহল্লার অলিগলিতে দু:স্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে নিজ হাতেই ওই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন। কেউ যাতে বাদ না পড়ে এ জন্য এলাকা অনুযায়ী তালিকা প্রস্তত করে এ খাদ্য সহায়তা বন্টন করেন।
ব্যক্তি উদ্যোগের এই খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান।
গত ০৯ মে কুলাউড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাদে মনসুর গ্রাম থেকে আনুষ্ঠানিক এই ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক রাব্বী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক কামাল হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলী, সম্পাদক শ্রী গৌরা দে, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মমদুদ হোসেন, ভাটেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম সিদ্দিকী (নানু), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান আহমদ টিপু, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন, মহান আল্লাহ পাক রাবুল আল’আমীনের কাছে শুকরিয়া জানাই যে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে র্দূযোগময় সময়ে মানুষের পাশে দাড়াঁতে পেরেছি। এ কাজে পারিবারিক সহায়তা না পেলে এই মহত উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। এজন্য আমি আমার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর যখন মানুষ কমর্হীনতায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ঠিক তখনই কিভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো যায় এ লক্ষেই হোমওয়ার্ক করি। তাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে প্রকৃত মানুষের হাতে সহায়তা তুলে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করি।
আমি এ বিতরণ কাজ শুরুর আগেই স্বচ্ছ একটি তালিকা তৈরি করি এবং সেই তালিকা অনুযায়ী সহায়তা করি। আর এ কারণেই আমার এই সহায়তা কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারি। প্রকৃত মানুষজনের কাছে এই সহায়তা পৌঁছে দিতে পেরেছি। চলমান এই পরিস্থিতিতে তাঁর এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।#
Leave a Reply