বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখার ঘোলসা গ্রামের সৈয়দ আব্দুল বাছিত কুয়েতে চাকুরীর সুবাদে পরিচয় সুত্রে সেখানে শ্রীলংকান নাগরিক শরীফা সাইয়্যিদকে বিয়ে করেন। ২০০৯ সালে ৪ সন্তানসহ বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে ফিরেন বাছিত-শরীফা দম্পতি। পরের বছর জন্ম নেয় তাদের পঞ্চম সন্তান। এরই মধ্যে শরীফা জানতে পারেন অন্য মেয়েকে বিয়ে করে গোপনে সংসার করছেন বাছিত। স্ত্রী ভিনদেশী নাগরিক শরীফার কুয়েতে থাকা কালিন রোজগারের ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার, বাড়ি থেকে তাড়াতে শারীরিক নির্যাতন ও তালাকসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে তিনি বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যােিজস্ট্রেট আদালতে স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সিআর-২৪৬/২০ নম্বর মামলা সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর পূর্বে কুয়েতে শ্রীলংকান মহিলা শরীফা সাইয়্যিদকে ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে করেন বড়লেখার ঘোলসা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মৃত সৈয়দ আব্দুল মুকিতের ছেলে সৈয়দ আব্দুল বাছিত। কুয়েতে থাকা অবস্থায় বাছিত-শরীফা দম্পতির চার সন্তানের জন্ম হয়। প্রায় ১১ বছর পূর্বে দেশে আসার পর তাদের ৫ম সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের আগে থেকেই দেশে জায়গা-জমি ক্রয় ও ব্যবসার জন্য বাছিত স্ত্রী শরীফার রোজগারের ৪০ লাখ টাকা নিয়ে নেন। কুয়েতে দোকান খুলেন। প্রায় ১১ বছর পূর্বে বাছিত স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশে চলে আসেন। কিছু দিন অবস্থানের পর শরীফা জানতে পারেন বাছিত গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র সংসার করছেন। ৫ সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে ভিনদেশী শরীফা সবকিছু নীরবে সহ্য করেন। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবানা আক্তার চৌধুরীর প্ররোচনায় আব্দুল বাছিত প্রথম স্ত্রী শরীফা সাইয়্যিদের ওপর টাকা-পয়সা (যৌতুক) দাবী করতে থাকেন। অপারগতা প্রকাশে নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। ভরণপোষনও বন্ধ করে দেন। বাছিত বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা দাবী করেন।
শ্রীলংকান নাগরিক ও বাংলাদেশী বধু শরীফা সাইয়্যিদ জানান, আমি দেশ ও ধর্ম ত্যাগ করে বাছিতকে বিয়ে করে বাংলাদেশে এসেছি। সে আমার সর্বস্ব হাতিয়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করছে। বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেছে । আমি সব ছেড়ে এসেছি। কোথা থেকে টাকা আনবো। টাকা দিতে না পারায় অমানসিক নির্যাতন করেছে। টাকা না দিলে তালাকের ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে মারধর কেেরছ। খোজ নেয় না, ভরণপোষণ দেয় না। প্রতিবেশিদের অনুগ্রহে বাচতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমি বিজ্ঞ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply