বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বুকের ব্যথার এক রোগীকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলার অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে হাসপাতালে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে আটক করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
হাসপাতাল, রোগীর স্বজন ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গ্রামতলা মুল্লাবাড়ির বাসিন্দা প্রবাস ফেরৎ আব্দুল খালিক (৫৭) বুকের ব্যথা অনুভব করলে মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাতিজা রেজাউল করিম তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জরুরী বিভাগের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেন (২৫) কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসারকে না জানিয়ে নিয়ম বহির্ভুতভাবে বুকের ব্যথার এ রোগীকে ইনজেকশন পুশসহ মনগড়া চিকিৎসা দিয়ে কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পার্শবর্তী ডায়গনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। পরীক্ষা শেষে হাসপাতালে পৌঁছার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে আব্দুল খালিকের মৃত্যু ঘটে। এ মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এসময় স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত আব্দুল খালিকের ভাতিজা রেজাউল করিমসহ স্বজনরা অভিযোগ করেন, জরুরী বিভাগে কোন মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষানবিশ স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনের মনগড়া ইনজেকশন পুশ ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশ শেখর দে জানান, জটিল অসুখের কোন রোগী আসলে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসারকে কল করার নিয়ম রয়েছে। ঘটনার সময় অনকল ডিউটিতে ডা. তৌফিক আজিজ হাসপাতালেই ছিলেন। কিন্তু শিক্ষানবিশ সেকমো এমদাদ তাকে না জানিয়ে রোগীকে ইনজেকশন পুশ ও ঔষধ দিয়েছে। ঔষধ ও ইনজেকশন হয়তো সঠিক ছিল, কিন্তু সে তা করতে পারে না। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তদন্তের ব্যবস্থা নিবেন।#
Leave a Reply