কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বনে হঠাৎ করে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে প্রায় দেড় একর বন পুড়েছে। বন এলাকার ছোট-বড় লতা-গুল্ম ও গাছ পুড়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির হয়ে দেখা দিয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বেসকারী উন্নয়ন সংস্থা হীড বাংলাদেশ সংলগ্ন বাঘমারা বন ক্যাম্পের পাশে এ আগুন লাগে। গুরুত্বপূর্ণ এই বনে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বললেও দুপুর পৌনে ৪টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রখর রোদে লাউয়াছড়ার স্টুডেন্ট ডরমেটরি অংশে গাছ রোপনের জন্য কাজ করছিলেন বন বিভাগের কিছু শ্রমিক। সেখানে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে প্রায় পৌনে তিন ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে পানি স্বল্পতা ও বনের ভেতরে রাস্তা না থাকায় ভেতরে ঢুকতে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সময় লাগছিল। আগুনে বড় সাইজের কোন গাছ পুড়তে দেখা না গেলেও বনের লতা-গুল্ম, ছোট ছোট গাছ গাছালি পুড়ে গেছে। এতে বন্যপ্রাণীর ব্যাপক আবাসস্থল বিনষ্ট হয়ে গেছে এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি বয়ে আনছে। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কোন কারন জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, কর্মরত শ্রমিকদের সিগারেট থেকে কিংবা স্থানীয়ভাবে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আগুন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে না এলে তা লাউয়াছড়ার জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এখানে কিছু অবৈধ দখলদার আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রচন্ড খরতাপের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব অবৈধ দখলদারেরাই আগুন লাগাতে পারেন। দেড় বছর আগেও এই বনে আগুন লেগেছিল।
ফায়ার সার্ভিস কমলগঞ্জের ইনচার্জ ফারুকুল ইসলাম জানান, গাছগাছালি পুড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীরা যৌথভাবে বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবেও আগুন লাগাতে পারে অথবা কর্মরত শ্রমিকদের সিগারেটের আগুন থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রায় দেড় একর জায়গার লতা-পাতা ও ছোট ছোট গাছগাছালি পুড়ে গেলেও বড় কোন গাছ পুড়েনি। তবে অগ্নিকান্ডের সঠিক কারণ উদঘাটন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। #
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply