কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
টাকা আত্মসাৎ করে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে নিজে ও পরিবার সদস্যদের উপর হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বাহরাইন ফেরত এক প্রবাসী। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের কেছুলুটি গ্রামে চাচাতো ভাই দ্বারা হয়রানির অভিযোগ করা হয়।
গত শনিবার (০১ মে) বিকালে কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ওই অভিযোগ করেন প্রবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রবাসী মো. আকলুছ মিয়া বলেন, তিনি বাহরাইন থাকাবস্থায় ও তার ছোট ভাই ব্রাজিল যাবার প্রাক্কালে আপন চাচাতো ভাই মো. শফিক মিয়াকে তার পরিবারের তদারককারী হিসেবে দায়িত্ব দেন। শফিক মিয়ার ওপর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দেখাশোনা ছাড়াও ব্যাংকের লেনদেনের দায়িত্ব ছিল। প্রাথমকিভাবে চাচাতো ভাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বাস অর্জন করায় তার মাধ্যমে কিছু জমি ক্রয় করেন তিনি। এ সুবাদে বিশ্বাস ও সরলতার সুয়োগে শফিক মিয়া ও তার দুই ভাই মিলে তার জমি কেনার প্রচুর পরিমাণে টাকা আত্মসাৎ করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে স্থানীয় মুরব্বীদের সহায়তায় সামাজিক বিচারে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চাইলে তারা নানা টাল বাহানা করে। অন্যদিকে কোন এক সুযোগে তার (প্রবাসীর) ঘর থেকে ব্যাংকের চেক বই চুরি করে সই জাল করে টাকা প্রাপ্তি দাবি করে। ব্যাংক হিসেবে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক ফেরৎ আসায় আদালতে মামলা করে অভিযুক্ত চাচাতো ভাইরা। বর্তমানে আবার তার নামে বিভিন্ন ভাবে হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে ও পরিবার সদস্যদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব মামলার নেপথ্যে রয়েছে শফিক মিয়া। এ নিয়ে তিনি কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করবেন বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অবিলম্বে এসব মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
তবে অভিযুক্ত শফিক মিয়া, সুফি মিয়া ও মাহি তিন ভাই বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা চাচাতো ভাই আকলুছ মিয়ার ওপর কোন মিথ্যে মামলা করেননি। এমনকি নতুন কোন মামলার নেপথ্যে তারা জড়িত নন। তারা আরও বলেন, আকলুছ মিয়া সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। কেছুলুটি গ্রামের জনৈক নিজাম মিয়ার কু-পরামর্শে তিনিও কয়েকটি মামলা করেছেন এবং এখন এসব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করছেন।#
Leave a Reply