এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ১০ মে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৃষি অফিসার ৯ বস্তা সার ও ২ বস্তা বীজ জব্দ করেন। জব্দকৃত সার ও বীজ ১১ মে মঙ্গলবার কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে উপজেলা কুষি অফিসার আব্দুল মোমেন জানতে পারেন কর্মধা ইউনিয়নের ট্যাক্স কালেক্টর তাজুল ইসলামের বাড়িতে সরকারি সার ও বীজ রয়েছে। তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রাতেই অভিযান চালান এবং তাজুল ইসলামের ঘর থেকে সরকারি ৯ বস্তা সার ও ২ বস্তা বীজ জব্দ করেন। জব্দকৃত সার ও বীজ সাইদুল মেম্বারের জিম্মায় রেখে আসেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে মঙ্গলবার ১১ মে সকালে কৃষি অফিসার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করে আসেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই। এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদের ৪-৫টি মুল্যবান সেগুন গাছ কেটে বিক্রি করার চেষ্টাকালে বনবিভাগ গাছগুলো জব্দ করে। সেই গাছগুলো দাম ৪-৫ লাখ টাকা হবে। সে চেয়ারম্যানের আত্মীয় পরিচয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
কর্মধা ইউনিয়নের মেম্বার সাইদুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসার রাতে এসে আমাকে নিয়ে তাজুল ইসলামের বাড়িতে যান এবং তার ঘর থেকে সার ও বীজ উদ্ধার করে আমার জিম্মায় রেখে যান। আবার মঙ্গলবার সকালে এসে সেই সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে গেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত তাজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমেন জানান, তাজুল ইসলাম এলাকার ১০ জন কৃষকের বরাদ্ধকৃত সার ও বীজ উপজেলা থেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে রাখে। ১০-১৫ দিন অতিবাহিত হলেও কৃষকের মাঝে বিতরণ করেননি। বিষয়টি জানতে পেরে সারগুলো কৃষকদের মাঝে বিতরণ করে দিয়েছি।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, ৫ জনের গ্রুপে কৃষকরা সার ও বীজ কৃষি অফিস থেকে গ্রহণ করে থাকেন। সার ও বীজগুলো যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে তা জব্দ করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।#
Leave a Reply