বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে ভাতিজা ও ভাগ্নেদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন প্রাইভেট গৃহ শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিন (৫৬)। তিনি উপজেলার সফরপুর খানপাড়া গ্রামের মৃত আকমল আলীর ছেলে। নিহতের স্ত্রী জুবেদা বেগমের অভিযোগ দেবর শাহীদুল ইসলামের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে খুন করা হয়। রোববার রাতে ঘটনায় জড়িত ভাতিজা শিব্বির আহমদকে পুলিশ আটক করেছে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীর ও ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে নিহতের লাশ স্ত্রী ও ছেলের কাছে হস্তান্তর করেছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টায় জানাজা শেষে গ্রামের সার্বজনিন কবরস্থানে নিহত প্রাইভেট শিক্ষক আপ্তাব উদ্দিনের লাশ দাফন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাতটার দিকে আপ্তাব উদ্দিন বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তায় বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ভাগ্নে রিপন খান (৩৫), জসিম উদ্দিন (২৯), ভাতিজা শিব্বির আহমদ (৩৩) প্রমুখ দা ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। হামলার ঘটনায় জড়িত নিহতের ভাতিজা শিব্বির আহমদকে রাতে পুলিশ আটক করেছে। নিহত আপ্তাব উদ্দিন মাস্টারের স্ত্রী জুবেদা বেগম অভিযোগ করেন, দেবর শাহীদুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়। স্কুল মাস্টার শাহীদুল ইসলামের নির্দেশে রোববার সকালে তার ছেলে, ভাগ্নে ও ভাতিজারা তার স্বামীকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বড়লেখা থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হামলার অভিযোগ পেয়েই রোববার রাতে আসামী শিব্বির আহমদকে আটক করেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।#
Leave a Reply