ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::
ছাতকে অজ্ঞাতনামা কিশোর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্বামী স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। গত সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করেছেন আদালতে।
জানা যায়,গত ৩ মার্চ উপজেলার পৌর শহরে কে বা কারা গভীর রাতে লাফার্জ সুরমা নদীর ঘাটে দক্ষিন পার্শ্বে দক্ষিন বাগবাড়ী হাওরে থেকে এক অজ্ঞাতনামা যুবক লাশটি লোক চক্ষুর আড়ালে ফেলে রাখা হয়। গত ৪ মাচ সকালে উপজেলার পৌর শহরের দক্ষিন বাগবাড়ীর হাজী বাবুল মিয়ার পতিত জমিতে বিকৃত করা লাশটি স্থানীয় জনগন দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়।
এ খবর পেয়ে এসআই মাসুদ রানা অজ্ঞাতনামা কিশোরের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের লক্ষে লাশ পোষ্ট মডেমের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তখন নিহত কিশোর এর কোন পরিচয় মেলেনি । এসআই মাসুদ রানা নিজেই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানার মামলা একটি হত্যার মামলা দায়ের করেন। (যার নং-০৬) এসআই আসাদুজ্জামান দীঘ প্রায় দুইমাস তদন্ত করার পর ও মামলার কোন রহস্য উদঘাটন সহ নিহত কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করতে ব্যথ হওয়া পরে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম,মামলার তদন্তকারি বদল করে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এক সপ্তাহের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন এবং নিহত অজ্ঞাতনামা কিশোরের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হন।
অজ্ঞাতনামা নিহত কিশোরের পরিচয় মেলেছে মৌলবীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার নোয়া গাও গ্রামে রাসিদ আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন। লাশটি প্রাপ্তি স্থান থেকে প্রায় ১৫০গজ দুরে দক্ষিন বাগবাড়ী (লেবারপাড়া আসামী তাজুল মিয়া ওরফে খসরু মিয়ার বসত ঘরের ভেতর কিশোর সাব্বির হোসেনকে মধ্যযুগী কায়দায় নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে তার দেহ পদার্থ মেডিসিন দিয়ে মুখমল্ডল পুড়িয়ে বিকৃত সহ লাশটি ঘুম করার এ ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযোগে এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম, এএসআই মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে ফোর্সের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খসরু মিয়া উরফে তাজুল (৫৫) শহরের লেবারপাড়া (দক্ষিণ বাগবাড়ী) এলাকার মৃত রশিদ আলীর পুত্র। তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫) কে ও আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লেবারপাড়া এলাকার বাড়ি থেকে তাদের আটক করেছে। আটক খসরু মিয়া উরফে তাজুলের মূল বাড়ী দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর এলাকায়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বামী স্ত্রী দুইজন এ ঘটনায় জড়িত থাকার এ ঘটনা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় সেচ্ছায় গত সোমবার বিকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার এঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে গত সোমবার বিকালে সুনামগঞ্জ আদালতে স্বামী স্ত্রী দুজন কিশোর হত্যার দায় স্বীকার করেছে।#
Leave a Reply