কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ননাশের (স্বামীর বড় বোনের) বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দীপা চৌধুরী (২৮) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যাকারীর পরিবার সদস্যরা বলেন এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা।
রোববার (১৩ জুন) ভোর রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের মঈনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
সরেজমিন জানা যায়, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীপা চৌধুরী। সে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতো। সেখানে তার প্রথম স্বামী ও প্রথম পক্ষের এক ছেলেও রয়েছে। প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলামের সাথে আদালতের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল। এ বিয়ে নিয়ে সাইফুল ইসলামের পারিবারিকি দ্বন্দ শুরু হলে সে স্ত্রী দীপা চৌধুরীকে গোবিন্দপুর গ্রামের স্বামীর বড় বোন শেফী বেগমের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন দীপা চৌধুরী। রোববার ভোর রাতের কোন এক সময় গৃহবধূ দীপা চৌধুরী রান্না ঘরের চালার সাথে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে রোববার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ দীপা চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার সদর পাসপাতালে পাঠায়।
তবে গৃহবধূর বোন মৌমিতা জানায়, সাইফুল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে তার বোন প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সাইফুলের সাথে বিয়ে হয়। সে মনে করে এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা করবে বলেও জানায়।
এদিকে স্বামী সাইফুলের বোন শেফি বেগম বলেন, গত রমজানের আগে সাইফুল মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তার স্ত্রী দীপাকে নিয়ে এ বাড়িতে আসে। সেই থেকে দীপা একানেই অবস্থান করছিলেন। সে তার সাথে (শেফী বেগমের সাথে) একই বিছানায় থাকতো। রোববার ভোর রাতে সবার অগোচরে রান্না ঘরের চালার সাথে গাযের ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পেরেছেন গৃহবধূ স্বামীর বোনের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছে। আর স্বামীর বাড়ি মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বিক্রমকলস গ্রামে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে বলেও তিনি জানান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হবে এবং ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধুর মোবাইল ফোন, ব্যাগ ভর্তি কাপড় জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ হলে তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#
Leave a Reply