কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট এলাকায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ব্লকের নিচে থেকে বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়ায় ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। আহতরা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১১টায় এ সংঘর্ষ বাঁধে।
জানা যায়, রহিমপুর ইউনিয়নের ছয়কুট এলাকায় ধলাই নদীর বালু মহালকে কেন্দ্র পূর্ব থেকে দুপক্ষের মাঝে বিরোধ চলছিল। বড়চেগ এলাকার জনৈক সুলেমান মিয়ার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছিল। প্রতিপক্ষ হারুনুর রশীদের লোকজন ছয়কুট এলাকায় নদীর ব্লকের নিচ থেকে বালু উত্তোলনে আপত্তি জানায়। এ সময় সুলেমান মিয়ার লোকজনের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে আলতাফ আলী (২১), রশিদ মিয়া (৩৫), সুলেমান মিয়া (৪৫), রনি মিয়া (২২), সুলতান মিয়া (৫০), মশাহিদ মিয়া (৪০) আহত হন। আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
অভিযোগ করে হারুনুর রশীদ বলেন, সুলেমান মিয়া প্রভাবশালী থাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। বাঁধের ব্লকের নিচ থেকে বালু উত্তোলনকালে আপত্তি জানালে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, রহিমপুরের বড়চেগ গ্রামে তিন বছর আগে বিদ্যুতায়নে সুলেমান মিয়া চাঁদা উত্তোলনের প্রতিবাদ জানানোর কারণে সে নানা সময়ে হামলা, মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুলেমান মিয়া বলেন, আমি বৈধভাবে ছয়কুট এলাকার কালিমন্দিরের পাশে ধলাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় হারুনুৃর রশীদ চাঁদা দাবি করে। এরপর তার লোকজন এসে হামলা করে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
Leave a Reply