সংবাদ সম্মেলন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মক্তবে পড়া না পারার কারণে ছাত্রীকে প্রহার করায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শ্লিলতাহানীর অভিযোগে মিথ্যা মামলায় মসজিদ ইমামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পৌর এলাকার নছরতপুর জামে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। (১৮ জুন) শুক্রবার বাদ জুম্মা নছরতপুর জামে মসজিদ মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৬ জুন সকাল ৭টায় নছরতপুর জামে মসজিদে মক্তব চলাকালে ১১ বছর বয়সী এক শিশু পড়া না পারার কারণে শাসনমূলক হালকা প্রহার করেন। তুচ্ছ এঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্যজনক কারণে নছরতপুর জামে মসজিদের ইমাম মো. শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানির অভিযোগ তুলা হয়। একই গ্রামের আব্দুস সালাম বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেন। মামলার সাথে সাথেই কোন তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই দ্রুততার সাথে খুশালপুর নুরানী মাদ্রাসা থেকে পুলিশ ইমামকে গ্রেফতার করে নিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। মসজিদ ইমাম শফিউল ইসলাম একজন সৎ, সহজ সরল মানুষ এবং তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত। তাঁর অসুস্থতাজনিত সময়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, কমলগঞ্জ ইউএনও ও কমলগঞ্জ পৌর মেয়র সক্রিয় ভুমিকা রাখেন। এই ইমামের বিরুদ্ধে এলাকার পঞ্চায়েতের কোন লোকের একটি অভিযোগও আজ পর্যন্ত নেই। এধরণের কোন ঘটনাও এলাকার কাউকে জানানো হয়নি বা কেউই জানেন না। ফলে এই মিথ্যা মামলা রহস্যজনক পুলিশি আচরণে ধর্মপ্রান মুসল্লীদের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় এবং মিথ্যাচারের এই মামলা থেকে মসজিদ ইমামকে স্বসম্মানে মুক্তির দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বাদীর দেয়া স্বাক্ষী তারই বড়ভাই শওকত আলি বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়টি আমি জানিনা আমাকে আমার ভাই স্বাক্ষী করেছে। এতে বুঝা যায় বাদী এজাহারে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন।
নছরতপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক এর স্বাক্ষরিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর মোশাহিদ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহেদুল আলম, স্থানীয় যুবনেতা আব্দুল মুকিত, সাবেক মোতওয়াল্লি আয়ুব আলী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, মুসল্লী হেলাল মিয়া, জাবের আহমদ মিন্টু, প্রবীন মুরব্বী আয়ুব আলী মাস্টার।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং অভিযুক্ত ইমাম শফিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।#
Leave a Reply