নিজস্ব প্রতিবেদক::
সাত দিন পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জ থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী ও পুলিশ । কলেজ ছাত্রী উদ্ধারে আইনি সহায়তা চেয়ে পরিবারের পক্ষ হতে সাধারন ডায়েরি ও পরবর্তীতে অপহরণ করত সহায়তার অভিযোগে তিন অপরহরণকারীর বিরুদ্ধে জেলার তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৩০, অপহরণ ও অপহরণকাজে সহায়তা করার অপরাধে সোমবার (২১) জুন থানায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।
থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরি ও মামলার সুত্রে জানা যায়, কলোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে থাকা এক মেধাবী কলেজ ছাত্রী তাহিরপুর উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের বখাটে আরিফ হোসেন (১৯) নামে এক পিক আপ চালক প্রায়ই উওপ্ত করে আসছিলো।
বিষয়টি কলেজ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বখাটের পরিবারের লোকজনকে একাধিকবার অবহিত করে বিচার চাওয়া হলেও ওই বখাটের বেপরোয়াপনা থামেনি। উল্টো পরিবারের পক্ষ হতে উস্কে দেয়া হয় বখাটেকে।
কলেজ ছাত্রী গ্রামের বাড়ি উপজেলার বাদাঘাট হতে নিকটআত্বীয়ের বাড়ি যাবার পথে বাড়ি হতে বের হওয়া মাত্র সড়কে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ২ হতে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে বখাটে আরিফ তার কয়েক সহযোগিসহ কিশোর গ্যাং’র সহায়তায় বুধবার( ১৬ জুন) দুপুরের দিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
দিনভর সন্ধানে তার খোঁজ না মেলায় আইনি সহায়তা পেতে ঘটনার রাতেই কলেজ ছাত্রীকে উদ্যারে তাহিরপুর থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি ) করা হয়।
এরপর নানা টালবাহানায় জিডি উঠিয়ে নিতে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে বখাটের পক্ষে প্রভাবশালী স্বজনরা অযাচিতভাবে চাঁপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তিন জনের নামোল্লেখ পূর্বক কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোমবার থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন কলেজ ছাত্রীর অভিভাবক।
মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্তাকারী অফিসার থানার এসআই মো. শাহাদাতের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অপহরণের সত্যতা পাওয়ায় মামলায় এজাহার নামীয় আসামি উপজেলার ভোলাখালী গ্রামের মৃত রোশন আলীর ছেলে পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধায় অপহৃত কলেজ ছাত্রীর পিতা মাতা গণমাধ্যমকে বলেন, গত এক সপ্তাহ (৭দিন) পেরিয়ে গেলেও অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধার না হওয়ায় আমার মেয়ের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন ও তার ব্যাক্তিগত জীবনের নিরাপক্তা নিয়ে শংকিত অবস্থায় দিনরাত অতিবাহিত করছি।
তারা আরো বলেন,অপহরণকারী চক্রের জিম্মিদশা হতে আমার কলেজ পড়ুয়া মেধাবী মেয়েকে উদ্যারে সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা,আইনশৃংখলা বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চেয়েছি।
মঙ্গলবার সন্ধায় তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার গণমাধ্যমকে বলেন, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের পাশাপাশী ভিকটিম উদ্যারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply