তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

তিনশ একর জমির বোরো ধান পানির নিচে কুইয়াছড়া নদী খননের দাবি

  • বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩

জুড়ী প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিলে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এক রাতের বৃষ্টিতে প্রায় তিনশ একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা স্থানীয় কুইয়া ছড়া নদী খননের দাবি জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বশির উদ্দিন, আতিকুর রহমান, দুলাল মিয়া, জয়নাল আবদীন, বাবুল মিয়া, আব্দুস ছালাম, ফরিজ আলী, মামুনুর রশীদ, ধলু মিয়া প্রমুখ বলেন- জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর, কৃষ্ণনগর, হরিরামপুর, গৌরাঙ্গ ও ধামাই এলাকায় গৌরাঙ্গ বিল ও খাই বিল অবস্থিত। এখানকার বৃষ্টির পানি কুইয়া ছড়া নদী দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে হাওরের দিকে প্রবাহিত হয়। উক্ত কুইয়া ছড়া নদী দিয়ে গৌরাঙ্গ বিল ছাড়াও ধলছড়ি, রাঙ্গাউটি ছড়া ও আইনজুড়ী ছড়ার পানি প্রবাহিত হয়। কিন্তু কুইয়া ছড়ায় ধলছড়ি সংযোগ স্থলের নিচের দিক ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি ভাটির দিকে না গিয়ে উজানের দিকে প্রবাহিত হয়। এতে করে গৌরাঙ্গ বিল এলাকায় বিশাল জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে সোমবার ভোর রাতে প্রচন্ড বৃষ্টিতে এখানে ৩/৪শত একর জমির বোরো ধানের মধ্যে প্রায় তিনশ একরের ধান পানিতে তলিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আতিকুর রহমান বলেন- আমার মত বহু কৃষক ঋন করে বিনিয়োগ করে ফসল ফলিয়েছেন। দেরীতে হলেও মওসুমের প্রথম দিকের বৃষ্টিতে ভালো ধান হয়েছিল। কিন্তু এক রাতের বৃষ্টিতে আমাদের সব স্বপ্ন লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শত শত কৃষকের মাথায় হাত। এখন ঋনের বোঝা বইতে হবে।

স্মরণরায় নালা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সম্পাদক বশির উদ্দিন বলেন- কুইয়া ছড়া ভরাট হয়ে যাওয়া জলাবদ্ধতার কারণ। কুইয়া ছড়া সেতুর নিকট থেকে ফানাই মুখ পর্যন্ত নদী খনন এবং ধামাই রতœা ছড়া (রাতুয়া ছড়া) থেকে কদারাম ছড়ার সাথে খনন করে সংযোগ স্থাপন করে দিলে এ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।

ইউপি সদস্য জয়নাল আবদীন বলেন- জলাবদ্ধতার কারণে বিশাল এলাকার ধান পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখানকার শত শত কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

জানতে চাইলে পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনফর আলী বলেন- এখানকার জলাবদ্ধতা দুর করতে হলে কুইয়া ছড়ায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার নদী খনন করতে হবে। এ জন্য প্রায় চার মাস আগে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews