কুড়িগ্রামে লোকসানের কবলে পড়েছেন আলুচাষি ও মজুতদাররা কুড়িগ্রামে লোকসানের কবলে পড়েছেন আলুচাষি ও মজুতদাররা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা

কুড়িগ্রামে লোকসানের কবলে পড়েছেন আলুচাষি ও মজুতদাররা

  • শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মো: বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি ::

কুড়িগ্রাম জেলায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৫টি হিমাগার আছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এ বছর হিমাগারগুলো আলু দিয়ে পূর্ণ ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ খাবারের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় সেভাবে হিমাগারগুলো থেকে আলু বের হয়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ আলু মজুদ থেকে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লাভের আশায় আলু মজুত করে এখন বড় লোকসানের কবলে পড়েছেন আলুচাষি ও মজুতদাররা।

লাভের আশায় চাষীরা এ বছর আলু চাষে বেশিই ঝুঁকেছিলেন। অনেকে বেশি দামের আশায় আলু হিমাগারে মজুদ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন কৃষকরা। তাদের লোকসান ঠেকাতে আলু রপ্তানির দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে হিমাগার খরচসহ প্রতি কেজিতে উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। আর বর্তমান আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায়। এতে প্রতি কেজিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে সাড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৯ টাকা। এখন প্রতি বস্তা ডায়মন্ড আলুর দাম ৬০০ টাকা আর হিমাগারের ভাড়াই প্রতি বস্তা ২৬০ টাকা এবং আলু সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি খালি বস্তা কিনতে হয়েছিল ১,শ টাকা । তাই হিমাগারগুলোতে পাইকারি ব্যবসায়ী না যাওয়ায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে হিমাগারগুলোতে আলু পচে নষ্টও হচ্ছে অনেক।

এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাপারীরা জানান, হিমাগার থেকে ঋণ নিয়ে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন তারা ভালো দাম পাওয়ার আশায়। কিন্তু তাদের এখন লাভের ভাগ টিয়াপাখিতে খাওয়ার মতো অবস্থা। এভাবে আলুর দাম কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়ন এর সুভারকুটি গ্রামের আলু চাষী আঃ রাজ্জাক জানান, প্রতি বছর প্রায় ১০০ একর জমিতে আলুর আবাদ করেন তিনি। এখন প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে এ বছর প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকার মতো লোকসান গুনতে হবে। লোকসান ঠেকাতে এবং কৃষক বাঁচাতে সরকারকে আলু বিদেশে রপ্তানির করার দাবিও জানান তিনি।

একই ইউনিয়নের হেমেরকুটি গ্রামের মোঃ আলম মিয়া নামের আর এক কৃষক অভিযোগ করেন, গত বছর আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসন থেকে বারবার দাম কমানোর জন্য এসেছে। দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ বছর তো আমরা দাম পাচ্ছি না। এ বছর কেউ আসে না, কৃষক মরলে কেউ দেখে না।

এ বিষয়ে সেকেন্দার বীজ হিমাগার লিমিটেড এর মালিক মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, প্রতিটি হিমাগারের মালিক আলুর বিপরীতে কৃষকদের ঋণ দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে আলুর বাজার দর কম থাকায় এখনো প্রতিটি হিমাগারে প্রায় ৭০ ভাগ আলু সংরক্ষণে রয়েছে। এভাবে বাজারে আলুর বাজার দর নামতে থাকলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু বের করার আশা ছেড়ে দেবেন। এতে হিমাগারের মালিকদেরও লোকসান গুনতে হবে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, এবারে আলুর মৌসুমে বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আলুর উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। এছাড়া অন্যবারের মতো এবার বৃষ্টি না হওয়ায় শাকসবজিও নষ্ট হয়নি। এর ফলে আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি ও শাকসবজির বাম্পার ফলনে আলুর দাম কম।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews