রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রবাসীকে হুমকি ধামকির অভিযোগে পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের হরিপাশা গ্রামের প্রবাসী শায়েস্তা মিয়া গত ৩১ আগস্ট এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী শায়েস্তা মিয়ার মালিকানা জায়গায় গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের কাজ শুরু করলে রাজনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান শায়েস্তা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কাজ বন্ধ করেন এবং সন্ধ্যায় থানার আসতে বলেন। সন্ধ্যায় শায়েস্তা মিয়া থানায় গেলে থানার এসআই আবুল হাসান বলেন, পিয়ারা বেগম শায়েস্তা মিয়ার নামে ভূমি দখলের অভিযোগ করছেন এবং বিষয়টি শালিসির জন্য টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রিপন মিয়াকে দায়িত্ব দেন।
গত ২০ আগষ্ট টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রিপন মিয়া স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালাশী করে উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ এবং সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেন।
সমাধানের বিষয়টি থানার এসআই আবুল হাসানকে অবগত করতে শায়েস্তা মিয়া থানায় গেলে থানার ওসি বিষয়টি আবার দেখতে হবে বলে নির্মাণ কাজ আরও এক সাপ্তাহ বন্ধ রাখতে বলেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে মনগড়া নানা কথা বর্তা বলে শায়েস্তা মিয়াকে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেন ৩ ফুট জায়গা পিয়ারা বেগমকে দিয়ে দিতে তিনি মূল্য পরিশোধ করে দিবেন। এতে শায়েস্তা মিয়া অসম্মতি জানালে ওসি ক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখেন এবং গত ৩০ আগষ্ট আবারও ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে শায়েস্তা মিয়াকে হুমকি দিয়ে ৩ ফুট জায়গা পিয়ারা বেগমকে না দিলে কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না। কাজ করলে আটক করে জেলহাজতে চালান করে দিবেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তা মিয়া বলেন, ওসির হুমকি ধামকিতে আমি নিরুপায় হয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বারাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি। বিষয়টি স্থানীয় শালিসে শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ওসি আমার বাড়িতে এসে আমাকে অপদস্ত করেছেন এবং নিয়মিত হুমকি প্রদান করছেন।
এসআই আবুল হাসানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি কিছু বলতে পারবেন না।
টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রিপন মিয়া বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে রাজনগর থানার এসআই আবুল হাসান আমাকে শালিসের দায়িত্ব দেন। আমি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শালিস বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই এবং থানায় আপোষনামা দিতে বলি।
এ ব্যাপারে রাজনগর থানা অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, আপনি আমার কাছে জানতে চাইতে পারেন না। এটা নিয়ে আপনার মাথা ব্যাথার কিছু না, বলে ফোন কল কেটে দেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জাকারিয়া জাকারিয়া অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply