ইতালী প্রতিনিধি ::
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশেই ২৮ নভেম্বর ইতালী আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ-সংক্রান্ত দলীয় প্রধানের নির্দেশনা এসেছে ইতালী আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক জিএম কিবরিয়ার কাছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লোকমান হোসেন এবং প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আবু সাঈদ খান বিষয়টির প্রতি ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতারা কোন রকমের অপপ্রচার অথবা বিভ্রান্তিতে না পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি।
সূত্রমতে, ইতালী আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে রোমে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে করে মৌলবাদী একটি গোষ্ঠী সুবিধা নিতে পারে-এ শঙ্কা থেকে সম্মেলন কেন্দ্রের চারদিকে তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতালির পুলিশ এবং ক্যারাবিনিয়ারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে। ইতিমধ্যেই সংস্থাগুলোকে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে লিখিত চিঠি দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশের আগে কমপক্ষে তিনটি স্থানে কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। সম্মেলনের নির্ধারিত আমন্ত্রণপত্র অথবা স্বাক্ষরযুক্ত কার্ড ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন বলেও জানা গেছে। ইতালী আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গঠিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও নির্বাচন কমিশন করোনার কারণে কয়েক দফা সম্মেলন পিছিয়ে সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করে । কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অংশ এই তারিখ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করলেও প্রস্তুতি কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের সাথে ওই অংশ কয়েক দফা বৈঠকে মিলিত হয়।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা লিখিতভাবে ইতালী আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২৮ নভেম্বর সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। সম্মেলন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আমরা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন কমিটি গ্রহণ করতে চাই। ইতালী আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, দেশেবিদেশে সকল সম্মেলনে পক্ষ-বিপক্ষ থাকতে পারে। কিন্তু শেষে আমরা সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী-এটা প্রমাণ করাই মূল লক্ষ্য।২৮ নভেম্বরের সম্মেলন ঐতিহাসিক রোমে আরেকটি ইতিহাস সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তিনি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply