কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
৫ম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের ব্যাপকহারে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ১ নম্বর রহিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতস্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেল আহমদ তরফদার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদার বলেন, রহিমপুর ইউনিয়নে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ইফতেখার আহমেদ বদরুল আহমদ স্থানীয় সংসদ সদস্যের আপন ছোট ভাই থাকার কারণে পূর্ব থেকেই নানা অনিয়ম, আচরনবিধি লঙ্ঘন ও আমার ভোটারদের হুমকি ধামকি প্রদান করে চলেছেন। এমনকি সংসদ সদস্য নিজেও মাঝে মধ্যে এলাকায় নিজ ভাইয়ের পক্ষে কৌশলে নির্বাচনী প্রচারনায় চলে আসেন। তাছাড়া দেওড়াছড়া চা বাগানে কিছু কর্মচারীদেরও প্রচারনায় ব্যবহার করছেন। এই সময়েও উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদরুল বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলছেন। এসব বিষয়ে রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন সময়ে চারটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তৃণমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের চাপে আমি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধীতা করছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব। তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আপনারা সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন দেশ ও জাতির কাছে এটিই প্রত্যাশা করি। জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের যোগ্য ও পছন্দের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। সর্বোপরি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। উল্লেখ্য, আগামী ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে কমলগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে মাধবপুর ইউনিয়ন, শমশেরনগর, আলীনগর ও পতনউষার ইউনিয়নেও আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীদের অধিকাংশেরই প্রচারনার গাড়িতে দু’টি করে মাইক ও রাত ৮টার পরেও প্রচার প্রচারনা করা হচ্ছে। মাইকের অতিরিক্ত আওয়াজের কারণে স্থানীয় ভোটাররাও শব্দ দুষণে অতিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
চারটি লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসার আহসান ইকবাল বলেন, অভিযোগ বিষয়ে পুলিশ, ইউএনও, ডিসিসহ বিভিন্ন দপ্তরে তা প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেট রয়েছেন তারাও দেখছেন।#
Leave a Reply