রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
একই ব্যক্তি দুই পদে নিচ্ছেন সরকারী সুযোগ সুবিধা। এমপিও ভূক্ত শিক্ষক হয়েও ইউপি সদস্য পদে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন অবৈধভাবে। এ অভিযোগ রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য দেলওয়ার হোসেন বাবলুর বিরুদ্ধে। এনিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় রাজনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এ ওয়ার্ডেও পরাজিত তিন সদস্য প্রার্থী। এতে তিনজনের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মনির হোসেন।
লিখিত অভিযোগ ও বক্তব্য থেকে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নংওয়ার্ডেও সদস্য দেলওয়ার হোসেন বাবলু রাজনগর উপজেলা সদরের রাজনগর আইডিয়াল হাই স্কুলের এমপিও ভূক্ত অফিস সরকারী। দীর্ঘদিন থেকে এ পদের বিপরীতে সরকারী বরাদ্দের ১১ হাজার ৬৮৮টাকা হারে বেতন উত্তোলন করছেন। তার এমপিও ইনডেক্স নং- s1023433| এছাড়াও বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে বেতন নিচ্ছেন। ২০১৬ সালের ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ আইন লঙ্ঘন করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তিনি এমপিও ভূক্তির সরকারী বরাদ্দ এবং ইউপি সদস্য হিসেবে বরাদ্দকৃত রাজস্ব খাতের টাকাও গ্রহণ করেছেন। এদিকে এবারের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে সরকারী বরাদ্দ আত্মসাতের পায়তারা করছেন। ইউপি সদস্য দেলওয়ার হোসেন বাবলুর সদস্যপদ বাতিল ও আত্মসাৎকৃত সরকারী বরাদ্দ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া এবং তার শাস্তির দাবীতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মো. মনির হোসেন, মো. বদরুল ইসলাম ও হেলাল আহমদ।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য দেলওয়ার হোসেন বাবলু বলেন, সাধারণ মানুষ আমার উপর আস্থা রেখেছেন বলে আমি ২য় বার নির্বাচিত হয়েছি। আমি সরকারী বিধি অনুযায়ী পরিষদের সম্মানি গ্রহন করেছি। মানুষ তাদের ওপর আস্থা রাখেনি। পরাজয়ের বেদনায় আইন না জেনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।#
Leave a Reply