মো: বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রামের কলেজপাড়ায় প্রতিবেশিদের দ্বারা জীবন নাশের হুমকির প্রেক্ষিতে বাড়ি ছাড়া একটি অসহায় পরিবার। তিন কন্যা সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ১০দিন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অসহায় শাবলু মিয়া। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ একাধিক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রতিকার না পেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভূক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজপাড়ার একাংশে স্থায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটি না থাকায় কুড়িগ্রাম নেসকো বরাবর খুঁটি চেয়ে আবেদন করে এলাকাবাসী। আবেদনের প্রেক্ষিত নেসকো কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় স্থায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করলে এলাকার কাঠমিস্ত্রি শাবলু মিয়া তার বাড়িতে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনে এলাকাবাসীকে বললে তারা শাবলু মিয়ার নিকট নেসকোর খরচ বাবদ ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি অর্থনৈতিক সঙ্কটে আছেন মর্মে দাবিকৃত অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এজন্য এলাকার লতিফ মাস্টার, মন্ডল, মিজানুর রহমান, আল আমিন, মোস্তফা, জাহাঙ্গীর আলম সহ আরো অনেকে শামলু মিয়াকে বৈদ্যুতিক সংযোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানান। বৈদ্যুতিক সংযোগ নাগরিক অধিকার মর্মে অর্থ হাতিয়ের প্রতিবাদ জানান শাবলু মিয়া পরে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ১০/১২জনের এলোপাতারি কিলঘুষিতে গুরুতর আহত হন শাবলু মিয়া, স্ত্রী শাহজাদী বেগম ও তার তিন কন্যা সন্তান। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিন্টু এগিয়ে আসলে আকস্মিকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হন। পরে তিনি বাদী হয়ে শাবলু মিয়াকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এমতাবস্থায় এলাকার সুযোগসন্ধানী লোকজন নানাভাবে শাবলু মিয়া ও তার পরিবারকে অনবরত প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে শাবলু মিয়া পলাতক থাকার সুবাদে গত ০৯.০৪.২০২২ইং তারিখ দুপুরে সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি শাবলু মিয়ার বাড়ির প্রবেশপথ বাঁশের খুঁটি দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
এলাকার ওই সুযোগ সন্ধানী চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ শাবলু মিয়ার পাশে এগিয়ে আসছে না এবং তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। শাবলু মিয়া একাধিকবার থানায় প্রতিকার চাইলেও থানা কর্তৃপক্ষ উল্টো তাকে শাসিয়েছে মর্মে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি পুলিশের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন-আমি আমার নিজ বাড়িতে যেতে চাই। এজন্য এসপি স্যারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন সমাধান পাই না।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে এলাকার লতিফ মাষ্টারকে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি মিমাংসার জন্য শাবলু মিয়াকে এলাকার লোকজনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি। কিন্তু তিনি যাননি। এলাকার কারো সাথে শাবলুর ভালো সম্পর্ক নেই। প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে তিনি আরো বলেন-যদি এলাকার লোকজন হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে সে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply