এইবেলা, সিলেট ::
দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনসহ যমুনা গ্রুপের ৪১ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, দেশে শিল্প বিপ্লবের স্বপ্নদ্রষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল ইসলামের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটে।
দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো ইনচার্জ সংগ্রাম সিংহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ সিদ্দীকি।
বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দীকি, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, ইমজা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সজল ছত্রী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো ইনচার্জ সংগ্রাম সিংহ। শোকসভা শেষে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন- ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি মসজিদের ইমাম হাফিজ মো. হারিছ উদ্দিন।
সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পর দেশে শিল্প বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। তিনি ৪০ বছরে গড়ে তুলেন ৪১ প্রতিষ্ঠান। তাঁরই স্বপ্নে দেশে গড়ে উঠেছে যমুনার একাধিক ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্ক। হাজার হাজার বেকার দক্ষ যুব সমাজের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে হাজার হাজার পরিবারে হাসি ফুটিয়েছেন। দেশে বেসরকারী খাতে কর্মসংস্থানের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এখন যমুনা গ্রুপ।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার ভূমিকা অনন্য। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। এ কারণে তিনি দেশের মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন দেশপ্রেমিক শিল্পোদ্যোক্তাকে হারিয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর রপ্তানিযোগ্য পণ্য পণ্য উৎপাদনের মধ্য দিয়ে তিনি গোটা দেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন আরো অনেক দূর। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি প্রয়াত হওয়ায় দেশ একজন শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা, শিল্পপতি ও দেশে শিল্প বিপ্লবের এক স্বপ্নচারীকে হারালো। তবে তাঁর কর্মযজ্ঞের মধ্যেই তিনি বেঁচে থাকবেন।
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের কনফারেন্স হলে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন সিলেট ব্যুরো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রির্পোটার ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ রেনু, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তিগুপ্ত, এসিড সন্ত্রাস নির্মুল কমিটির (এসনিক) সভাপতি জুরেজ আব্দুল্লাহ গোলজার, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, দৈনিক খবরপত্রের সিলেট ব্যুরো প্রধান এমএ মতিন, দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রির্পোটার আজমল খান, ইয়াহ্ইয়া মারুফ, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার মাইদুল রাসেল, ভিডিও জার্নালিষ্ট নিরানন্দ পাল, শাকিল আহমদ সোহাগ, ডিবিসি নিউজের ভিডিও জার্নালিষ্ট হাসান সিকান্দার সেলিম, নিউজ২৪ এর ভিডিও জার্নালিষ্ট শফি আহমদ, বাংলাটিভির ভিডিও জার্নালিষ্ট এস আলম আলমগীর, এটিএন নিউজের ভিডিও জার্নালিষ্ট অনিল পাল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সাঁই, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা সিলেট মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসেন খান, ফটো সাংবাদিক রনজিৎ সিংহ, সমাজকর্মী হাবিবুর রহমান, যুগান্তর স্বজন সমাবেশ সিলেটের সভাপতি প্রভাষক সুমন রায়, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অনি, সদস্য শাওন আহমদ, বদরুল ইসলাম শাকির, চলচ্চিত্র নির্মাতা উত্তম কুমার সিংহ, শাহাদাৎ হোসেন সুজন ও জিয়াদুর রহমান সুমন। এছাড়াও শোকসভায় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশাপাশি, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
শোকসভায় বক্তারা আরো বলেন, যমুনা গ্রুপের চেয়াম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম দেশপ্রেমিক সাহসী শিল্পোদ্যোক্তা ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধেও ছিল তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী। এত বড় শিল্পপতি হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। সাহসিকতার সঙ্গে তিনি দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টিভিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে পরিণত করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের শিল্প ও গণমাধ্যমের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।#
Leave a Reply