কুড়িগ্রামে সব হারিয়ে দিশেহারা ১৯ পরিবার কুড়িগ্রামে সব হারিয়ে দিশেহারা ১৯ পরিবার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত‌কে গায়েবি প্রশিক্ষণের টাকা সরকারি কর্মকর্তার পকেটে! নিটার-ইপিলিয়ন এমওইউ নবায়ন, সুযোগ বাড়ছে নিটার শিক্ষার্থীদের কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড

কুড়িগ্রামে সব হারিয়ে দিশেহারা ১৯ পরিবার

  • শনিবার, ১১ জুন, ২০২২
প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মো. বুলবুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম সদর ::  কুড়িগ্রামে সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব ১৯টি পরিবার। দু’চোখে এখন অন্ধকার ভবিষ্যৎ দেখছে এসব মানুষ। সহায়-সম্বল হারানোর বেদনায় যাদের দু’চোখে এখন শুধুই অশ্রুসাড়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতনিধিদের অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ চর বড়াইবাড়ি গ্রামের নিরুপায় এসমস্ত ভূক্তভোগী পরিবার।

১১ জুন (শনিবার) সকালে এসব পরিবারের লুটপাটের খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ছুটে যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর বড়াইবাড়ি গ্রামে। সংবাদকর্মীদের দেখামাত্র হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন এসব পরিবারের নারী ও পুরুষরা। “স্যার আমাদেরকে বাঁচান, আমাদের কেউ নেই, ওরা আমাদের সব নিয়ে গেছে, বাচ্চাকে খাওয়ানোর মত খাবার পর্যন্ত  এখন ঘরে নেই, টাকা-পয়সা, ধান-চাল, গরু, ছাগল, আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কার, সোলার প্যানেল, মোটর পাম্প লুটপাট করেছে এবং ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে”। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন লাইলী বেগম ও শেওলা বেগম।

সরেজমিনে দিয়ে জানা যায়, গত ১০মে-২২ইং তারিখ বড়াইবাড়ি এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত সংঘর্ষে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়। এরই সুযোগে পূর্ব শত্রুতার খায়েশ মেটাতে হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে এলাকার নিরপরাধ আদম আলী, সিরাজুল, কাঁশি পাগলা, হাছিম, হোসেন, শফিকুল, মফিজুল, মমিনুল, নুর আলম, আবিদুল, সোহেল রানা, শহিদুল মেহেরুদ্দি, বাইজুদ্দিন, জিয়ারুল, আজিজুল, আব্দুল, রেজাউল ও শামছুলের বাড়ি ঘরে প্রবেশ করে লুটপাট চালায় ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। লুটপাটের চিহ্ন এখনো বিদ্যমান এসব পরিবারে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মফিজ উদ্দিন, জিলহাস উদ্দিন ও ইউসুফ আলী জানান, যাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে তারা হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। অনুমান আর পূর্ব শত্রুতার জেরে নিরীহ মানুষদের ক্ষতি করেছে দুস্কৃতিকারীরা।

সংঘর্ষে নিহত খোরশেদ আলমের পিতা মানিক মিয়া জানান, আমরা আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সেই সময় কে বা কারা এসব বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে তা আমি জানি না।

এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন বলেন-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ভূক্তভোগী পরিবারগুলি অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews