কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে “ফতেখাঁ কারামতিয়া দাখিল মাদরাসা”র নিয়োগ পরীক্ষা গোপনে সম্পন্ন করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ওই মাদ্রাসার সুপার গোলাম রব্বানী।
গত শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির ফতেখাঁ কারামতিয়ার মাদ্রাসার সহকারী সুপার, পরিচ্ছন্নকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই নিয়োগ দিতে চেয়ে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ।
নিয়োগ দিতে চেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কমিটির লোকজন একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গোপনে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করলে চাকরিপ্রত্যাশীরা টাকা ফেরত পেতে চাইলে হট্টোগোলের সৃষ্টি হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ দ্রুত মাদ্রাসা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষক কমিটির লোকজনের হাতাহাতি।
এ সময় মাদ্রাসার সুপার গোলাম রব্বানী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়ে শিক্ষক মাহফুজার রহমানসহ দুজনকে মাদ্রাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ১০ অক্টোবর (সোমবার) মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করলে তারা জানান যে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
মাদ্রাসার সুপার গোলাম রব্বানী বলেন, আমি নিয়োগ বিষয়ে কোনো প্রার্থীর কাছে টাকা নিইনি। টাকা নিয়েছেন সহ-সুপার মাহফুজার ও খোরশেদ আলম। তারাই সবকিছু করছেন। আমি যাতে নিয়োগে কোনো কিছু বলতে না পারি এই জন্য আমার কাছে ব্লাঙ্ক চেকে সই করিয়ে নিয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ জামান বলেন, পরিবেশ উত্তপ্ত থাকার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ডিজির প্রতিনিধি ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সভাপতির অনুপস্থিতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম বলেন, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি সুপার ও সহ-সুপার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।
তাই আমি নিয়োগ পরীক্ষায় উপস্থিত হইনি। তাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।#
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in
Leave a Reply