এইবেলা, বিশেষ প্রতিনিধি ::
জুড়ী উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ী ইব্রাহীম (৩০) কিছুদিন পূর্বে বেশ কিছু ইয়াবাসহ তার সহযোগী বিল্লাল, সুমন, লুকুছ ও কবির পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যায়। কিছুদিন হাজত বাসের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসী মাদক নির্মূলে পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, এবার তারা সমগ্র জুড়ী উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী বড়লেখা ও কুলাউড়া উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তাদের মাদকের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়ার ঘটনা এলাকায় ওপেন সিক্রেট। গ্রামবাসী, পুলিশ কিংবা আইন আদালত কাউকেই, যেন তাদের পরোয়া নেই। কিছুদিন পূর্বে জুড়ী থানার ওসি বেলাগাঁও কণ্টিনালা যুব ও সমাজকল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে এক মাদক বিরোধী সভায় মাদক কারবারীদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানালে গ্রামের যুব সমাজের ক’জন সাহসী হয়ে উঠে। এ সময় ওই যুবকরা মাদক কারবারী ইব্রাহীমের আস্তানায় আসতে মাদকসেবীদের বাঁধা প্রদান করলে তার সহযোগী মাদকসেবী একই গ্রামের ছিদ্দিক আলীর ছেলে আরস আলীকে দিয়ে মৌলভীবাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে গত ১৫ জুলাই, (মামলা নং-১৪/২০২০ইং) সমাজকর্মী ফরিদ মিয়া, জামাল হোসেন, হেলাল মিয়া, কামাল হোসেন, কাশেম মিয়াসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। ইব্রাহীমের বাড়ীর স্পট ছাড়াও আরো ৪/৫টি স্পটে তার লোকজন ইয়াবা বিক্রি করছে। এসব স্পটে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাড়াও উঠতি যুবকদের ভিড় করতে দেখা যায়। ইয়াবার ডিলার ইব্রাহীম ইতিপূর্বে গাঁজা ব্যবসা করে যারা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিল তাদেরকে জামিনে বের করতে সহযোগীতা করায় এখন তারাও গাঁজার পাশাপাশি ইয়াবা বিক্রি করছে। গত ৯ আগস্ট সে রজমিনে পশ্চিম বেলাগাঁও গ্রামের ইব্রাহীমের কলোনীতে, হরিরামপুর গ্রামের রেল লাইনের পাশের স্পটে ও পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের আস্তানায় গাঁজা ও ইয়াবা সেবনকারীদের ভিড় করতে দেখা যায়।
জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। কেউ মাদক ব্যবসায় জড়িত হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। মাদক নির্মূলে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।#
Leave a Reply