মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :: ভূরুঙ্গামারীতে নিখোঁজের দুই দিন পর ধান ক্ষেত থেকে শাহিন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । নিহত শাহিন মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আঙ্গারীয়া বারুইটারী গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
শাহীনের চাচা জুয়েল রানা বলেন, আমার ভাতিজা শাহিন ঢাকায় রিক্সা চালাতেন। সে ঢাকা থেকে একটি এন্ড্রয়েড ফোন কিনে নিয়ে আসে। সেই ফোনটি গত ১০ দিন আগে হারিয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি আমাদের প্রতিবেশী শফি (৩৫) ফোনটি চুরি করেছেন। গত ( ১৩ অেক্টোবর) শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় আমার ভাতিজা তার মায়ের ফোনটি সাথে নিয়ে শফির বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয় । এরপর রাত অব্দি শাহীন বাড়ি না ফিরলে একাধিক বার তাকে ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শাহিনের মা শারেরা বেগম সফির বাড়িতে রাত ১২ দিকে যার। সফির মা তখন বলেন, সফি এখন ঘুমিয়ে আছে তাকে বিরক্ত করা যাবে না। শাহিনের মা বাড়ি ফিরে আসেন। পরদিন সকাল ৭ টায় আবারও শাহিনের মা শফির বাড়িতে যান, তিনি দেখেন তারা কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি তিনি আবারো বাড়িতে ফিরে আসেন। সকাল দশটায় আবারো তিনি ছেলের খোঁজে সফির বাড়িতে। তিনি তখন দেখে তাদের বাসায় কেউ নেই। ঘরের সব দরজায় তালা দেয়া। তিনি আবারও ফিরে আসেন।
সফির বাড়িতে সন্ধ্যায় সফির ভগ্নিপতি সহ এলাকার ৪ – ৫ যোগাযোগ করা হলে তারা শুধুমাত্র বাড়িতে সফির মাকে পায়।তিনি বলেন, সফি বাড়িতে নেই।
জুয়েল মিয়া আরও বলেন, আমরা অনেক খোঁজা খুঁজির পরে শাহীনের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গতকাল আমি ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আজ আমরা জমিতে আমার ভাতিজার লাশ পাই।আমার ভাতিজার খুনের জন্য সফিকে সন্দেহ করছি।
এদিকে (১৫ অক্টোবর) রোববার সকালে ওই গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে বস্তার মধ্যে মানুষের দুটি পা দেখতে পান কয়েকজন কৃষি শ্রমিক। পরে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। গতকাল নিহতের স্বজন একটি মিসিং ডায়েরি করেছিল। তাদের সন্তান বাড়ি থেকে বের হয়েছে কিন্তু আর বাড়িতে ফেরেনি। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি।আজ আমরা একটি লাশ পেয়েছি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। #
Leave a Reply