এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখার অফিসবাজারে উচ্ছেদকৃত সড়কের ভুমিতে পুনরায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গাটি অফিসবাজারের সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড সংলগ্ন। সরকারি ভুমিতে স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি পরিবহণ শ্রমিক নেতারা ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার অফিস বাজারে বড়লেখা-শাহবাজপুর এলজিইডি সড়ক সংলগ্ন সরকারী ভুমিতে প্রায় ২০ বছর পূর্বে অটোরিকশা স্ট্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন অনুদানে গাড়ি রাখার জন্য স্ট্যান্ডটির কার্যালয় স্থাপনসহ উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী স্ট্যান্ড সংলগ্ন গাড়ি রাখার সরকারি জায়গায় পাকা দোকান ঘর তৈরির কাজ শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মাণ কাজ উচ্ছেদ করে স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। সম্প্রতি প্রভাবশালীরা পুনরায় উক্ত স্থানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ অবস্থায় স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সরকারী ভুমি জবর দখল ও স্থাপনা নির্মাণ চেষ্টাকারী বিলাল উদ্দিন, সিরাই মিয়া, আব্দুল আজিজ, মঈন উদ্দিন, কয়েছ আহমদের বিরুদ্ধে ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, থানার ওসি, সড়ক জনপথ (সওজ), স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত বিলাল উদ্দিন, সিরাই মিয়া, আব্দুল আজিজ, মঈন উদ্দিন ও কয়েছ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় বিলাল উদ্দিন ও সিরাই মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মঈন উদ্দিন ‘জায়গাটি সরকারি স্বীকার করে জানান, স্ট্যান্ডও সরকারি জায়গায়। তিনি দখলসূত্রে এ ভুমির মালিক হয়েছেন।’ আব্দুল আজিজ জানান, ‘জায়গাটি যাদের পূর্ব পুরুষের ছিল তারা আমার কাছে দখল বিক্রি করছে। আমি দখল সূত্রে মালিক।’ কয়েছ আহমদ জানান, ‘স্ট্যান্ডের সাথে আমার কোন ঝামেলা নেই। জায়গাটির পূর্ব পুরুষ থেকে আমি মালিকানা পেয়েছি। তারা কেন অভিযোগ করেছে তা বুঝতে পারছেন না।’
অফিসবাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক সালমান আহমদ নাসির জানান, ‘স্ট্যান্ডটি ২০ বছর থেকে প্রতিষ্ঠিত। স্ট্যান্ডে সরকারি অনুদানে মাঠি ভরাট হয়েছে। আমাদের অনেক শ্রমিক। গাড়ি রাখার বিকল্প জায়গা নেই। ইতিপূর্বে প্রভাবশালীরা স্ট্যান্ড সংলগ্ন গাড়ি রাখার জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করলে প্রশাসন তা উচ্ছেদ করে। কিন্তু আবারো তারা স্থাপনা তৈরীর চেষ্টা করছে। এজন্য আমরা প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।’
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জায়গাটি সার্ভে (পরিমাপ) করা হবে। যদি সরকারি জায়গা হয়ে থাকে তাহলে বিধি মোতাবেক উচ্ছেদ করা হবে।’#
Leave a Reply